‘তৃণমূল-বিজেপি এক নয়’; কমরেডদের নয়া পাঠ সিপিএমের

বোধদয় বামেদের! বিজেপি আর তৃণমূল যে এক নয়, দলের কমরেডদের এবার এই পাঠই দিতে চলেছে সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, পার্টিকর্মীদের জন্য চালু হচ্ছে নতুন সিলেবাস।

বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। একুশের নির্বাচনে একটিও আসন জোটেনি তাদের। এখন দলের মধ্যে চলছে হারের বিশ্লেষণ। তার মধ্যে বেশির ভাগটাই অবশ্য আত্মসমালোচনা। আত্মসমালোচনা করতে গিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন কর্তারা, এমনই জানা গিয়েছে। পার্টকর্মীদের জন্য দল নতুন দিকনির্দেশ করতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। সুত্রের খবর, কর্মীদের জন্য দল নতুন যে রাজনৈতিক সিলেবাস বানিয়েছে তাতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, এ রাজ্যে তৃণমূল আর বিজেপি আর এক নয়।

রাজনীতির আঙিনায় তৃণমূল কংগ্রেস না বিজেপি কে তাদের প্রধান শত্রু, এ নিয়ে সিপিএমে বিতর্কের শেষ নেই। অবশেষে এতদিনে তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বিজেপিকেই এ রাজ্যে তাদের প্রধান শত্রু বলে জানাতে চলেছে তারা। এর মাধ্যমে অবশেষে যাবতীয় টালবাহানা কাটিয়ে পরিষ্কার অবস্থান নিচ্ছে বঙ্গ সিপিএম। সুত্রের খবর দলের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই পার্টিকর্মীদের কাছে এই বার্তা পৌছে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ৫ অগাস্ট দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন নেতা মুজফফর আহমেদের জন্মদিবস। স্বাভাবিকভাবে সিপিএম এই দিনটিতে নানা কর্মসূচি পালন করে। তবে এবার পার্টিকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্যোগ নিয়েছে দল। সেখানেই কর্মীদের বোঝানো হবে, এতদিন দল যে অবস্থান নিয়েছিল ও স্লোগান দিয়েছিল তা ভুল ছিল। দলের কর্মসূচির সঙ্গে তা কোনও ভাবেই মানানসই হয়নি। সুত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এ সংক্রান্ত একটি নোটও ইতিমধ্যেই জেলা কমিটিগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নোটেই তৃণমূল ও বিজেপি সম্পর্কে সিপিএম নতুন করে মূল্যায়ণ করতে চেয়েছে।

আরও পড়ুন- আগামিকাল ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে শপথ নেবেন জহর সরকার

 

Previous articleআগামিকাল ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে শপথ নেবেন জহর সরকার
Next articleরাজ্যের উদ্যোগে দ্রুত ‘শ্রী’ ফিরছে দার্জিলিঙ চিড়িয়াখানায়