ত্রিপুরায় (Tripura) মহামারি আইন ভেঙে অবস্থান বিক্ষোভের অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা-সহ ১১ জন তৃণমূল নেতানেত্রীকে। তৃণমূল(TMC) কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার সকালেই ত্রিপুরার পৌঁছলেন ব্রাত্য বসু(Bratya Basu), দোলা সেন(Dola Sen), কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
এদিন ত্রিপুরা পৌঁছানোর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ব্রাত্য বসু বলেন, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিরোধী কণ্ঠ বলে কিছু নেই। বিজেপি ভয় পাচ্ছে কিন্তু আমরা গণআন্দোলন করা মানুষ। ধমকে, গাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের আটকানো যাবে না।” পাশাপাশি কুণাল ঘোষ জানান, “সারারাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কর্মীরা সেখানে ছিল। আমাদের পার্টিঅফিস ভাঙা হয়েছে। বিজেপি হুমকি দিয়েছে যাতে কোনওরকম সহযোগিতা না করা হয়।” তৃণমূল সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতেই আজ শীর্ষ নেতৃত্বের ত্রিপুরা সফর। গ্রেফতার হওয়া ১১ জন তৃণমূল নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, আজ সকালে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন:মহামারি আইনে ভোররাতে ত্রিপুরায় গ্রেফতার দেবাংশু-জয়া-সুদীপ সহ ১১ তৃণমূল কর্মী
উল্লেখ্য, শনিবার রাতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে টুইট করেছিলেন অভিষেক। টুইটে তিনি লেখেন, “ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডাদের হাতে নৃশংসভাবে হামলার শিকার হওয়া প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আমি ত্রিপুরায় আসছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমি লড়াই চালাবো। ক্ষমতা থাকলে আমাকে আটকান বিপ্লব দেব।”