জালনোট পাচারকারী গড়তে স্কুল খুলে ক্লাস চলছে যোগীরাজ্যে!

পাঠশালায় প্রতি ব্যাচে ক্লাস করছে ৪০ থেকে ৫০ জন পড়ুয়া। গুরুমশাই তাদের পাঠ দিচ্ছেন কীভাবে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পাচার করতে হবে জাল নোট। উদ্দেশ্য সফল হলেই মালামাল। পকেটে আসবে কমিশনের মোটা টাকা। জালনোট(fake currency) কারবারের ট্রেনিংয়ের জন্য যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) আতরামপুরে রীতিমতো পাঠশালা খুলে চলছে হাতে ধরে কাজ শেখানো। একেবারে পেশাদারী কায়দায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই সকল ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে জালনোট পৌঁছে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। সম্প্রতি এই তথ্য হাতে পেয়েছে উত্তর প্রদেশে পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স(STF)। এরপরই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বাংলা সহ দেশের সব জায়গায়।

পুলিস সূত্রে খবর, গত কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য জায়গায় জাল নোট পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে উত্তরপ্রদেশের কয়েকজন যুবক। তাদের জেরা করে জানা যায়, বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যের যুবকরা এখন জাল নোট পাচারের ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের আকরামপুরে এই কাজের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রামু সাহু নামে এক ব্যক্তি তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। এই ব্যক্তির সঙ্গে মালদহের জাল নোট কারবারিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি রামুর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তারপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন:“কৃষিক্ষেত্রে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করবে সরকার”, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

জানা গিয়েছে, ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সী স্কুল কলেজের পড়ুয়া ও স্কুলছুটদের এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রামুর এই পাঠশালায় প্রতি ব্যাচে ৪০ থেকে ৫০ জন ক্লাস করে প্রতিদিন। কত টাকার জাল নোট নিয়ে আসছে তার ওপর মেলে কমিশন। শেখানো হচ্ছে পুলিস বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখকে কীভাবে ফাঁকি দিতে হবে, কীভাবে পিঠে বইয়ের ব্যাগে করে জাল নোট আনতে হবে। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে স্কুল ইউনিফর্ম ও স্কুলের আইডি কার্ড ব্যবহার করে এইসব কেরিয়াররা। আপাতত এই রামুকে গ্রেফতারের লক্ষ্যেই কোমর বাড়তে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করা হলে গোটা রহস্য খোলসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Previous articleশহরের প্রথম সিএনজি বাস চালালেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
Next articleফের সন্ত্রাস ত্রিপুরায়, এবার তৃণমূলে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত বিজেপির হাতে