আগামী ১১ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে শিথিল হচ্ছে লকডাউন

খায়রুল আলম , ঢাকা

করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতে চলেছে । ১১ অগাস্ট থেকে প্রায় সবই খুলে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ।তাতে বলা হয়েছে, ১১ অগাস্ট থেকে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, শপিং মল ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে । আর শিল্প কারখানা গত ১ অগাস্ট থেকেই খোলা রয়েছে।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বা বিনোদন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

গণপরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক এলাকার প্রতিদিন মোট যানবাহনের অর্ধেক গাড়ি রাস্তায় নামানোর শর্ত দেওয়া হয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে ।
মহামারির আবহে গত দেড় বছরে বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই থেকে ফের দেশে লকডাউন জারি করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় ৯ দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে । এরপর ১ অগাস্ট সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি মেলে।

চলতে থাকা এই লকডাউন আগামী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর কথা গত ৩ অগাস্টের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
সেদিনই তিনি বলেছিলেন, এক সপ্তাহ ভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পর ১১ অগাস্ট থেকে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস খুলবে। সীমিত পরিসরে ‘রোটেশন করে’ যানবাহন চলবে।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া ছয় দিনের এই টিকাদান কর্মসূচিতে সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩২ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

কাজের প্রয়োজনে যারা বাড়ির বাইরে আসছে, তাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “যেহেতু দোকানপাট খুলতে হবে- সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকে আমাদের জোর থাকবে। গতকাল থেকে গণটিকা চালু হয়েছে । এটি ১২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। যারা মাস্ক পরবে না, তাদের জরিমানা করা হবে ।

 

 

Previous articleসপ্তাহের শুরুতে কি ফের বৃষ্টি? কী বলছে আবহাওয়া দফতর
Next articleবাংলার প্রতি টিকা বঞ্চনার মাঝেই মোদির “ফ্রি” ভ্যাকসিন বিজ্ঞাপনে খরচ ২১০ কোটি!