ত্রিপুরায় যুব নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ তৃণমূলের

গত শনিবার ত্রিপুরাতে(Tripura) যুব তৃণমূল(TMC) নেতৃত্বের ওপর হামলা চালায় বিজেপি(BJP)। শুধু তাই নয়, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে আক্রান্তদেরই গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা মত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে শামিল হলেন তৃণমূল সাংসদরা। হাতে কালো প্লাকার্ড নিয়ে এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা। যেখানে লেখা “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাতে হবে”। কোনোটাতে আবার লেখা রয়েছে ‘ত্রিপুরায় স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক’।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে বিজেপির হামলার শিকার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। শুধু তাই নয় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে আক্রান্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদের পাশে দাঁড়াতে তড়িঘড়ি ত্রিপুরা উড়ে যান তৃণমূলের তিন শীর্ষ নেতা ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ। তাদের পর ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খোয়াই থানায় দীর্ঘ বচসার পর আদালতে ১৪ জন অভিযুক্তকেই জামিন দেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন:শাহের নির্দেশেই ত্রিপুরায় আক্রমণ, জল পায়নি আহতরা, মানুষ জবাব দেবে: মমতা

রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় একের পর এক ঘটনাবলি শেষে, সন্ধ্যায় জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির সরকার যদি ভাবে গাড়ি ভেঙে তৃণমূলকে আটকে রাখবে, তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। এরা যত তৃণমূলের উপর আঘাত করবে, তত তৃণমূলের জেদ বাড়বে। ভারতের আইন কেন ত্রিপুরায় প্রয়োগ হবে না? আমাদের সহকর্মীদের গ্রেফতার করছে। অথচ জায়গায় জাগায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করছে, তা পুলিশ চোখে দেখতে পারছে না।” এরপর ঝাঁঝালো সুরে তিনি বলেন, “বেশি দিন এই সব চলবে না। বিপ্লব দেবের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয়, তৃণমূল তা জানে। এই ১৭ মাস যেভাবে লড়তে হয় তৃণমূল লড়বে। আর বিজেপিকে উপড়ে ফেলবে।”

 

Previous articleফের দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের নীচে, মৃত্যু কমে ৪৪৭
Next articleত্রিপুরায় অভিষেকের প্রাণ সংশয়, বিমানে গুন্ডা তুলে দেয় বিজেপি: বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার