স্বাধীনতা দিবসের(independence day) ৭৫ তম বর্ষে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতা সংগ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরাকে(matangini hazra) অসমের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)। তারই মধ্যে রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল, দোলা-অপরূপার গাড়িতে পরপর হামলা
রবিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার ভাষণে দেশের স্বাধীনতায় নারীদের অবদানের কথা ব্যাখ্যা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই থেকে শুরু করে মাতঙ্গিনীর নাম উল্লেখ করেন মোদী। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের মাতঙ্গিনীর নাম উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এহেন ভুল তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমন ভুল তথ্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী! ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের? প্রধানমন্ত্রী কি পাগল হলেন? নিজে জানেন না। আবেগ নেই। অন্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ে নাটক করতে গেলে এই হয়। এটা বাংলার প্রতি অপমান। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান। ওঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের গদ্দারও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন। pic.twitter.com/xCJpX8DpTa
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 15, 2021
প্রধানমন্ত্রীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন টুইটে রীতিমতো তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ, সেই ঘটনার ভিডিও তুলে ধরে টুইটারে তিনি লেখেন, “মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের? প্রধানমন্ত্রী কি পাগল হলেন? নিজে জানেন না। আবেগ নেই। অন্যের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ে নাটক করতে গেলে এই হয়। এটা বাংলার প্রতি অপমান। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান। ওঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের গদ্দারও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন।”