তৃণমূলকে তালিবানি কায়দায় আক্রমণ! নিদান ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়কের

ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়! গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় কার্যত সরাসরি হুমকি। একেবারে তালিবানি কায়দায়। তাও কি-না ভারতবর্ষের মতো বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে!

কী সেই ঘটনা?

সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর তাতেই গাত্রদাহ! তৃণমূলের নেতা,কর্মী, মন্ত্রী, সাংসদ প্রত্যেকেই আক্রান্ত বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা। বাদ যাননি মহিলারাও। এমনকী, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরও আক্রমণ হয়েছে। অদ্ভুতভাবে নিশ্চুপ বিপ্লব দেব প্রশাসন। বরং, তৃণমূল দেখলেই তালিবানি ফতোয়া জারি হয়েছে ত্রিপুরাতে!

কিন্তু এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক! কার্যত হুমকির সুরে কথা বললেন তিনি। “আগরতলা বিমানবন্দরে নামলেই তালিবানি কায়দায় তৃণমূল নেতানেত্রীদের উপরে আক্রমণ করতে হবে।” বুধবার এক দলীয় সভায় এমনই উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিলোনিয়ার বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের বিরুদ্ধে। আর এই বক্তব্যের পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি এমন উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিককে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন।

কুণাল ঘোষের কথায়, “অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বিজেপি বিধায়ককে। তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করতে হবে, অর্থাৎ জঙ্গলের রাজত্ব চলছে ত্রিপুরায়। তা প্রতিষ্ঠিত করে দিলেন বিজেপির বিধায়ক। এই হচ্ছে বিজেপি। আগের দিন দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন দুটো ঢিল মারলাম তাতে কেঁদে ফেললেন। এসব ছোটবেলায় সিপিএমকে দেখে এসেছি। এসব ছেলেমানুষি করে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, এবার তাঁরা ত্রিপুরার বিধায়কের এই অসাংবিধানিক ভাষার ব্যাখ্যা দিন। এরাই আসলে তালিবান। সকলের সামনে মুখোশ খুলে চলে এল।”

ঠিক কী বলেছিলেন বিলোনিয়ায় বিজেপি বিধায়ক?

এক দলীয় সভায় বিলোনিয়ায় বিজেপি বিধায়ক তথা বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ নেতা অরুণ ভৌমিক তালিবানি কায়দায় নিদান দেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতে ২৫ বছর পর ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারের উপরে আঘাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব, একেবারে তালিবানি কায়দায় এদের আক্রমণ করতে হবে। এয়ারপোর্টে নামলেই আক্রমণ করতে হবে তাদের। প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বিপ্লব দেবের সরকারকে রক্ষা করব। যাতে এখানে তারা ঘাঁটি গাড়তে না পারে।”

আরও পড়ুন- জয়প্রকাশ মজুমদারকে পুলিশের কাছে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বলছেন বিজেপি নেতা?

বিজেপি বিধায়কের এমন বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের অঙ্গ রাজ্যে নির্বাচিত কোনও বিধায়ক এমন ভাষায় কথা বলতে পারেন বিরোধীদের সম্পর্কে, তা কেউ ভাবতেই পারছেন না। advt 19

 

Previous articleজয়প্রকাশ মজুমদারকে পুলিশের কাছে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বলছেন বিজেপি নেতা?
Next articleশান্তি ফিরুক আফগানিস্তানে, প্রার্থনা কাবুলিওয়ালাদের