টিম গঠনের পরেই ডিজি-র কাছে মেল, খুন-ধর্ষণের মামলার নথি চাইল সিবিআই

হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই ‘অতিসক্রিয়’ সিবিআই। রাজ্যের ডিজিকে মেল করে ভোট পরবর্তী খুন এবং ধর্ষণের মামলার নথি চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভোট পরবর্তী সময় কোথায় কোথায় খুন-ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে- সেইসব কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই।রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের মামলাগুলির তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে (CBI) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার, আদালতের এই নির্দেশের পরেই তৎপরতা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায়। ওইদিন সন্ধেয় দিল্লি ও কলকাতার সিবিআই আধিকারিকরা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পেয়েই লিগাল টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন সিবিআই-এর ডিরেক্টর। তদন্তের গুরুত্ব অনুযায়ী, চারটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটিতে টিমে ৬-৭ জন করে অফিসার রয়েছেন। কমপক্ষ ২৫-৩০ জনের দল আসছে রাজ্যে। স্পেশাল ইউনিটের সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখতে শীর্ষে থাকবেন *একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার* । চারটি টিমের জন্য *চারজন জয়েন্ট ডিরেক্টর থাকছেন* । জয়েন্ট ডিরেক্টর পদের পরেই *একজন ডিআইজি, একজন সিনিয়র এস পি ও তিনজন এস পি* থাকছেন। এরপরেই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে জয়েন্ট ডিরেক্টরের কাছে। সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লিতে।

আরও পড়ুন:করোনার চোখরাঙানির মাঝেই দোসর মিস-সি, মালদা মেডিক্যালে ভর্তি কমপক্ষে ২০ জন শিশু

শীঘ্রই তাঁরা রাজ্যে আসছেন বলে খবর। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের হাতে একাধিক মামলা ঝুলছে। অথচ রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলা নিয়ে এত তৎপরতা কেন! রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির মতো অনেক মামলারই মীমাংসা করতে পারেনি সিবিআই। কিন্তু এক্ষেত্রে এত তৎপরতা কেন? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার, যখন কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়, ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি রায় সিবিআইকে খাঁচাবন্দি তোতা পাখি বলে ভর্ৎসনা করে। এবার এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা কী হয় সেদিকে তাকিয়ে সব মহল।

advt 19

 

Previous articleরাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়ের মৃত্যুতে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleকূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার আর্জি, দিল্লিকে অবাক করে প্রস্তাব তালিবানের