পুরনো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একশো বছরে পা দিল দক্ষিণ কলকাতার দ্বিতীয় বারেয়ারি দুর্গাপুজো

আড়ম্বর নেই। নেই থিমের বালাই। শুধু তিথি নক্ষত্র মিলিয়ে খুঁটি পুজো করা কলাবউ স্নান করানো থেকে বিসর্জন অবধি পুরো দুর্গাপুজো করা হয় সাবেকি নিয়ম মেনে। শুরু থেকে এভাবেই ‘ভবানীপুর সার্বজনীন ধর্মপ্রসারিণী সমিতি’-র বারেয়ারি পুজো হয়ে আসছে। এবছরে এই পুজোর শতবার্ষিকী বর্ষপূর্তি উদযাপিত হবে। নিয়ম মেনে আগামিকাল সকাল ১১টায় খুঁটি পুজো করবেন পুজো উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন:অনাস্থা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নয়া সভাপতির

১৯২২ সালে আদি গঙ্গার পাশে মুখার্জী ঘাটে প্রথম এই বারোয়ারি দুর্গাপুজো শুরু করেন চক্রবেড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বগলাচরণ ঘোষ। কথিত রয়েছে এটিই দক্ষিণ কলকাতার দ্বিতীয় বারোয়ারি দুর্গাপুজো।  ১৯২২ সালে লালবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়, শশীভূষন নন্দী, রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, যতীন্দ্রনাথ দাস, মণিমোহন অঙ্কুর, চুনীলাল মুখার্জী, বীরেশ্বর চট্ট্যোপাধ্যায়য়ের উদ্যোগে পুজো শুরু হয়। তারপর থেকেই ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে সাবেকি নিয়মে এই সার্বজনীন পুজো চলে আসছে।

ষষ্ঠীর দিন আদিগঙ্গায় কলাবউ স্নান করানো থেকে শুরু করে নবমীতে  কুমারি পুজো সবকিছুই অতি নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে পুজো করেন পুজো কমিটির কর্তারা। একেবারে সাবেকি নিয়ম মেনে আদিগঙ্গায় স্নান সেরে মাকে অঞ্জলি দেওয়ার রীতিও এখানে আজও প্রচলিত। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে তাঁদের পুজো বারোয়ারি পুজো বলে প্রচলিত হলেও বাড়ির ঠাকুরের মতোই নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে ভক্তি ভরে পুজো করা হয়। বাড়ির ঠাকুরের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় তাঁদের মা দুর্গা। বরং জাগ্রত দেবী বলেই পুজোর জোগাড়ে খামতি রাখেন না পুজো কমিটির কর্তারা।

advt 19

Previous articleঅনাস্থা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নয়া সভাপতির
Next articleপিছিয়ে থেকেও এএফসি কাপে দুরন্ত জয় এটিকে মোহনবাগানের