অস্মি বর্মন। মালদহের কন্যার বিশ্বজয়। ১২ ঘণ্টায় ২০ টি মিনি পোর্ট্রেট এঁকে এই অনন্য সম্মানের অধিকারী হয়েছেন জেলার একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। অস্মির এই সাফল্য ইতিমধ্যেই লিপিবদ্ধ হয়েছে Inkzoid Book Of World Record-2021-এ।চলতি মাসের ১০ তারিখ লাগাতার ১২ ঘন্টায় ২০ টি ছবি এঁকেছিল অস্মিতা। যার মধ্যে ১টি এক্রেলিক,১০ টি পোর্ট্রেট এবং ১০টি কনসেপচুয়াল ড্রয়িং করেছিল সে।

যা বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

মালদহের মঙ্গলবাড়ী এলাকায় দেবাশীষ বর্মন ও শম্পা বর্মন এর একমাত্র মেয়ে অস্মিতা। ছোট থেকেই মেধাবী। আর বরাবরই ভালোবাসতো ছবি আঁকতে।

মালদা শহরে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল এর একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীর আঁকা বিভিন্ন ছবি এর আগেও জেলার গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যস্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সুনাম অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ছাড়াও নারী মুক্তি, মেয়েদের প্রতি সমাজের বিভিন্ন বিষয় অস্মিতা রং তুলি পেন্সিলে বারবার উঠে এসেছে জীবন্ত হয়ে।

বিশ্ব রেকর্ডে নাম তোলার পর অস্মিতা আমাদের জানিয়েছে, মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই ড্রইং করা শুরু করেছিল সে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ও পায় সে। তখন থেকেই একটা নেশা ছিল। নতুন কিছু করার। ড্রইং বিষয়টা সকলের কাছে আরো বেশি করে তুলে ধরা, সেখান থেকেই ইচ্ছেটা শুরু হয়েছিল। আজ খুব ভালো লাগছে। সকলের সাহায্য সহযোগিতায় আমি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে পেরেছি। আগামী দিনে আমি আমার এই কাজ আরো অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রমাণ করতে চাই অন্য কোন বিষয়ে থেকে এই বিষয়ে কোনো অংশেই ছোট নয়।

মেয়ের সাফল্যে খুশি অস্মিতার বাবাও। জানিয়েছেন, আমরা গর্বিত, আজ নিশ্চয়ই জেলাবাসী ও গর্ববোধ করবেন তাদের মেয়ের জন্য। মেয়ের ছবির বিষয় ছিল মূলত নারী স্বাধীনতা, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, সামাজিক অবক্ষয় ছাড়াও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন দিক। ওর প্রতিটি ছবি যেন কিছু বলতে চাইতো। আমরা খুশি দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পর আজ সফলতা এসেছে।
