শিলিগুড়ির পর্যটনে বিশেষ আকর্ষণ, বাঘের সংখ্যা বেড়ে হল ৭

শিলিগুড়ির পর্যটনে বিশেষ আকর্ষণ। বাঘের সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হল ৭। মহানন্দা অভয়ারণ্যের বেঙ্গল সাফারিতে চার বছরে নতুন ৫ সদস্য এসেছে। বেঙ্গল সাফারিতে এই হারে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি রীতিমতো নজির।

বেঙ্গল সাফারিতে বাঘ-সহ অন্যান্য প্রাণীদের মন ভালো রাখতে বদল করা হয় এনক্লোজার। নিয়মকরে এনক্লোজার পরিস্কার করা, তাদের খাওয়া-দাওয়া, চিকিত্সা-সহ মানসিক দিকটিও খেয়াল রাখা হয় বলে জানান বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাঘের তিনটি শাবকের নাম রেখেছেন।’

আরও পড়ুন-যতক্ষণ সুপ্রিমকোর্টে মামলা, ততক্ষণ পেগাসাসে পদক্ষেপ নয়: জানাল রাজ্য

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠনের পর থেকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য এখানকার পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪ সালে শিলিগুড়ির কাছে মহানন্দা অভয়ারণ্য জুড়ে তৈরি হয় বেঙ্গল সাফারি পার্ক। এই সাফারি পার্কে বিভিন্ন এনক্লোজারে করে রাখা হয়েছে হরিণ, ভাল্লুক, গন্ডার, চিতাবাঘ, বাঘ ছাড়াও বন বেড়াল ও বিভিন্ন প্রকারের ময়ূর সহ অন্যন্য পাখি। রয়েছে কুমির থেকে শুরু করে কচ্ছপও। পর্যটকেদের জন্য রয়েছে ইকো ফ্রেন্ডলি সফারি বাস। এই বাসে চেপেই পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি করানো হয়। ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বেঙ্গল সাফারির উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে এখানে একে এক আনা হয়েছে বিভিন্ন পশু-পাখি। উদ্বোধনের প্রায় বছর খানেক পর দুটি বাঘ ও চিতাবাঘ আনা হয়। এরপর বেঙ্গল সাফারিতে কর্মচারীদের যত্নে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। এখন এখানে ছোটো বড় মিলিয়ে ৭ টি বাঘ ও চারটি চিতাবাঘ রয়েছে, যার মধ্যে একটি সাদা বাঘও আছে। বেঙ্গল সাফারিতে প্রতিদিন পর্যটক ও স্থানীয় লোকেদের ঢল নামে। এমনকি সকাল সকাল না পৌঁছালে সেখানে সাফারির টিকিট পাওয়া মুশ্কিল হয়ে যায়।

শহর লাগোয়া একটি সুন্দর পর্যটন স্থল হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের জন্যও এটি একটি বিশেষ আকর্ষনের কেন্দ্র। কিন্তু করোনায় গ্রাস করেছে মানুষের আনন্দের সব মুহূর্তগুলো। যদিও করোনা সংক্রমণ কমায় রাজ্য সরকার কোবিড বিধি পালনের সঙ্গে একে একে তুলে নিচ্ছে বিধি নিষেধ। এবার বেঙ্গল সাফারি খোলার আশায় দিন গুণছেন পর্যটকেরা।

advt 19

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় অবশেষে জটকাটলো ইস্টবেঙ্গলের, খেলবে আইএসএল
Next articleআফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৩১ অগস্ট , ঘোষণা বাইডেনের