ত্রিপুরা: তৃণমূলের চাপে নিগৃহীতা ছাত্রীর গোপন জবানবন্দিতে রাজি পুলিশ

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের ২৪ ঘণ্টা আগে ত্রিপুরায় ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালাল বিজেপি। আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা যখন প্রতিষ্ঠাদিবসের প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি ছাত্র সংগঠন এবিভিপির কর্মীরা৷ তাদের সঙ্গে ছিল বিজেপি যুবমোর্চার কিছু সমর্থক ও কয়েকজন বহিরাগত৷ কলেজের ছাত্রী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী সোলাঙ্কি সেনগুপ্তকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রবল হেনস্থা করে বিজেপি গুন্ডারা। বেশ কিছুক্ষণের জন্য সোলাঙ্কির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

ঘটনা শুনেই দলের তরফে কলকাতা থেকে আগরতলা পৌঁছন সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আগরতলার পূর্ব মহিলা থানায় হাজির হয়ে তাঁরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শান্তনু ও কুণালের সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন ত্রিপুরার নেতা সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং, পার​মিতা সেন প্রমুখ। পুলিশের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা দাবি তোলেন, গণতান্ত্রিক এক কর্মসূচির উপর তালিবানি কায়দায় হামলা চালাল বিজেপি। তারপরেও কোনও গ্রেফতার নেই কেন? সোলাঙ্কিকে তুলে নিয়ে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা করার পর কেন সেই অভিযুক্তকে ধরেনি পুলিশ?

তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এসডিপিও রমেশ যাদবের গায়েও হাত তুলে নিগ্রহ করেছে বিজেপির গুন্ডারা। তারপরেও পুলিশ কীভাবে নিষ্ক্রিয়? তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্নবাণের মুখে অপ্রস্তুত পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত পলাতক৷ তাকে খোঁজা হচ্ছে। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল নেতারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের চাপে নিগৃহীতা ছাত্রী সোলাঙ্কির বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি করাতে রাজি হয় পুলিশ। এদিনের এই ঘটনায় সোলাঙ্কি ছাড়াও আক্রান্ত হন হিমাদ্রিশেখর বণিক, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শক্তিপ্রতাপ সিং৷

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি! অধ্যাপকের বিরুদ্ধে FIR

advt 19

 

Previous articleদ্বিতীয় ইনিংসে ক‍্যামব‍্যাক কোহলি, পুজারাদের
Next articleসতর্কতা সত্ত্বেও কাবুলে হামলা, দায় কার?