রাক্ষুসে বাড়িতে পুতনার পুজো! কোথায় জানেন?

তারকা, শূর্পনখা, হিড়িম্বা, পুতনা- পৌরাণিক কাহিনীতে এঁদের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের পুজো হচ্ছে এমন খুব একটা দেখা যায় না। লক্ষ্মণ, শূর্পনখার নাক কাটায় লঙ্কাকাণ্ডের সূত্রপাত। শ্রীকৃষ্ণকে বধ করতে পুতনার সাহায্য নিয়েছিলেন কংস। হিড়িম্বকে বধ করে হিড়িম্বাকে বিয়ে করেছিলেন ভীম। পৌরাণিক কাহিনীতে যদিও দেবগণের সঙ্গে অসুরকুলের দ্বন্দ্ব, তবে মর্ত্যে কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় পূজিত হন তাঁরা। চন্দননগর (Chandannagar) নীচুপট্টিতে রাধাগোবিন্দ বাড়ি রাক্ষুসে বাড়ি নামে খ্যাত। এখানে রাধাগোবিন্দের মন্দিরে রাক্ষুসীর অধিষ্ঠান। তাঁর নিত্য পুজো হয়।মূর্তির কোলে শিশু কৃষ্ণ। কংস কৃষ্ণকে মারতে পুতনাকে পাঠিয়েছিল, কৃষ্ণকে স্তন্যপান করিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল পুতনা। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় চার পুরুষ আগে চন্দননগর অধিকারী বাড়িতে।0 রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় চন্দননগরে ফরাসিদের আগমনের আগে।বর্তমান পুরুষ গৌর অধিকারীর (Gour Adhikari) দাদু স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাক্ষুসী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

নীচুপট্টি অধিকারী বাড়ির মন্দিরে ঢুকলেই চোখে পড়বে রাক্ষুসী মূর্তি। ভক্তি ভরে পুজো হয় তাঁর। মন্দিরে ভিতরে রাধাগোবিন্দ, জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার নিত্য পুজো হয়। সঙ্গে তিন বেলা ভোগ। রাক্ষুসী বাড়ির পরিচিতি হওয়ায় অনেকেই দেখতে আসেন। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো ও রথের সময় সবথেকে বেশি লোক সমাগম হয়।

 

তবে, সেই রাক্ষুসী মন্দিরের বর্তমানে ভগ্নদশা। প্রশাসনের কাছে সংস্কারের আবেদন জানিয়েছে অধিকারী পরিবার।গৃহকর্ত্রী ছবি অধিকারী (Chobi Adhikari) বলেন, এই মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এখনও অনেক মানুষ আসেন মন্দিরে। বহু পুরোনো এই মন্দিরের সংস্কার প্রয়োজন। গৌর অধিকারী বলেন, সংস্কারের জন্য চন্দননগর পুর নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশাসনের সাহায্যের আশায় অধিকারী পরিবার।

advt 19

Previous articleডেডলাইন ৩১ অগাস্ট, আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক বাড়ছে, দেশে ফিরছে মার্কিন বাহিনীও
Next articleখবরের জের: ভুল বুঝে ছেলের কাছেই ফিরলেন বৃদ্ধ