দ্বিতীয় বিয়ের জের, গ্রেফতারের আশঙ্কায় আদালতে আত্মসমর্পণ বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির

দ্বিতীয় বিয়ের জের। সংসার ভাঙা, বধূ নির্যাতন প্রভৃতি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগেই। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ করেছিলেন চন্দনার দ্বিতীয় স্বামী কৃষ্ণ কুণ্ডুর প্রথম স্ত্রী রুম্পাদেবী। চন্দনার প্রথম স্বামীও অভিযোগ করেছিলেন বলে খবর। খুব স্বাভাবিক ভাবেই গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিল চন্দনার।

আরও পড়ুন – হামিদ করজাই বিমানবন্দরের কন্ট্রোলরুম যেন ধ্বংসস্তূপ, চালু করতে সময় লাগবে ২ বছর

অভিযোগ, দুই সন্তানের মা শালতোড়ার বিজেপির বিধায়ক চন্দনা তাঁরই দলের কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন। যখন তাঁর স্বামী বর্তমান। বাড়িতে অসুস্থ শ্বাশুড়ি।
বউকে খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হন চন্দনার প্রথম স্বামী শ্রাবণ বাউড়ি। আর গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর প্রথম স্ত্রী রুম্পা। পুলিশ চন্দনা আর কৃষ্ণকে থানায় ডেকে পাঠায়। ডাকা হয় চন্দনার প্রথম স্বামী শ্রাবণ ও কৃষ্ণর প্রথম স্ত্রী রুম্পাকেও। এরপর প্রথম স্বামী শ্রাবণ-এর সঙ্গে থানা থেকে বাড়ি ফিরে যান চন্দনা। আর চন্দনার বিরহে অত্যধিক মদ্যপানের জন্য বারে বারে অসুস্থ হয়ে পড়ে কৃষ্ণ। হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন। স্বামীর এ অবস্থার জন্য চন্দনাকে দায়ী করেছেন রুম্পা। এছাড়া চন্দনার বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগও আনেন কৃষ্ণর প্রথম স্ত্রী।

এদিকে রুম্পার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও কৃষ্ণ কুন্ডুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮(এ) ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে। সেই মামলার ভিত্তিতেই এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি আত্মসমর্পণ করেন।

advt 19

 

Previous articleটিএমসির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পর এবার ত্রিপুরায় শিক্ষক দিবস পালন তৃণমূলের
Next articleভারতে নাশকতা চালাতে পারে আইএস-খোরাসান! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের