তালিবানের স্বাধীনতার দাবি, তবু পরাধীনতার আতঙ্কে ভুগছেন আফগানিস্তানের আমজনতা

মার্কিন সেনা ফিরে যাওয়ার পর দেশের ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে তালিবান। ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তান পূর্ণ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সে দেশের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা তো দূরের কথা, বরং তালিবানি শাসনের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার কথা মনে রেখে তীব্র আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে। আমজনতা, বিশেষ করে সেদেশের মেয়েরা মনে করছেন, তাঁরা এবার সত্যিই পরাধীন হলেন। কারণ এবার তাঁরা আর কোনও কিছুই নিজেদের ইচ্ছায় করতে পারবেন না। সব কিছুই করতে হবে তালিবানের ইচ্ছা বা নির্দেশ মেনে।

বুধবার সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে সে দেশের ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলির সামনে দীর্ঘ লাইন কিন্তু সেখানেও কোনও টাকা মিলছে না। নিজের নাম গোপন করে সেদেশের এক মহিলা সাংবাদিক জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, তালিবান আমলে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। সে কারণেই মানুষ তাঁদের সঞ্চিত অর্থ দ্রুত তুলে নিতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তবে বাড়তি দাম দিলেও যে জিনিস মিলছে তা নয়। বেশিরভাগ এলাকাতেই দেখা দিয়েছে জিনিসপত্রের তীব্র আকাল। এদিকে দেশের প্রতিটি এলাকায় রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালিবান সেনা। তালিবানি শাসনে সমস্যায় পড়েছেন মেয়েরা। রাস্তায় কোনওভাবেই মেয়েদের একা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তালিবান শাসনে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা কার্যত নিষিদ্ধ হতে বসেছে। আজমিরা খাতুন নামে কলেজে পড়া এক তরুণী জানালেন, তাঁদের বোধহয় আর স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করা সম্ভব হবে না। তাঁরা আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন সালেমা নামে এক অষ্টাদশী ছাত্রী। ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান।

আরও পড়ুন- কাল থেকে বিশ্বভারতীর-আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

কর্মরত অনেক মহিলাই জানিয়েছেন, তাঁদের রোজগারেই চলত সংসার। কিন্তু তাঁদের চাকরি বা কাজ বন্ধ হওয়ায় সংসার প্রতিপালন করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অনুমতি দিলে তাঁরা বোরখা পরেও কাজে যেতে পারেন। কিন্তু তালিবানের কাছ থেকে এখনও সেই অনুমতি মেলেনি। তবে তালিবানদের পাল্টা দাবি, দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাজ তারা আগের মতই পুরোদমে চালু রাখতে চায়।

advt 19

 

Previous articleআল কায়দার মন্তব্যে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ
Next articleপুলিশ দিবসে পুলিশ কর্মীদের সম্বর্ধনা