তালিবানের উত্থানে পাক মদত, আমেরিকার কাছে অভিযোগ বিদেশসচিবের

আফগানিস্তানের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলিতে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে মার্কিন বিদেশ-সচিবের সঙ্গে আলোচনা করলেন দেশের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে হর্ষবর্ধন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পিছনে সম্পূর্ণ মদত রয়েছে পাকিস্তানের। তারাই তালিবানকে পুষেছে এবং সব ধরনের সাহায্য করেছে।

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে কী প্রার্থী দেবে কংগ্রেস? কলকাতায় এসে যা জানালেন AICC নেতা সলমান খুরশিদ

শনিবার ভারত-মার্কিন বিদেশসচিব পরস্পরের মুখোমুখি হন। সেখানেই শ্রিংলা স্পষ্ট বলেন, শুধু তালিবান নয়, বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে পুরোদস্তুর মদত দিয়ে চলেছে ইসলামাবাদ। সে দেশের মাটিতে বসেই জঙ্গিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাশকতা চালানোর ছক কষে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বিশ্বের সব দেশের পক্ষেই ভয়ঙ্কর। আফগানিস্তানের চলতি পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভূমিকা কতদূর বিস্তৃত তা অবিলম্বে খতিয়ে দেখা উচিত। এই আলোচনায় পাকিস্তানের বিষয়ে শ্রিংলার সঙ্গে সহমত হয়েছেন ব্লিঙ্কেনও। তিনি জানান, আমেরিকাও আফগানিস্তানের প্রতিটি বিষয়ের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে। অগাস্ট মাসে ভারতের সভাপতিত্বে চারটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। যার মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান নিয়ে প্রস্তাবও রয়েছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মাটিতে জঙ্গিদের কখনওই আশ্রয় দেওয়া হবে না। জঙ্গিরা যাতে সে দেশের মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশকে ভয় দেখাতে না পারে বা নাশকতা চালাতে না পারে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। তালিবানি জমানায় ভারত-আফগানিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়েও সরকারের মতামত জানিয়েছেন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, আপাতত আফগানিস্তান নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি বজায় থাকবে।

আরও পড়ুন- পিছোল তালিবানের সরকার গঠন, তালিবানের পৈশাচিক উল্লাসে প্রাণ গেল ১৮ জনের advt 19

 

Previous articleপিছোল তালিবানের সরকার গঠন, তালিবানের পৈশাচিক উল্লাসে প্রাণ গেল ১৮ জনের
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ