Sunday, November 16, 2025

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে জীবনব্যাপী শিক্ষার স্থায়ী কাঠামো তৈরির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

১৯৬৫ সালে ইউনেসকোর উদ্যোগে তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি শিক্ষা সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষরতা দিবস পালন করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব মানুষকে সাক্ষর করে বিশ্বব্যাপী একটি সাক্ষরসমাজ তৈরি করাই ছিল এই দিবস পালনের অন্যতম লক্ষ্য। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।

করোনার স্থায়িত্বকাল বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী অনলাইনে পড়ানো চালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে এলাকাভিত্তিক জীবনব্যাপী শিক্ষার স্থায়ী কাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা, বিনোদনমূলক শিক্ষা ইত্যাদি সব প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন সকলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সকলকে বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সকলের চেষ্টার মাধ্যমে সাক্ষরতার মান বাড়াতে হবে। সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি নিজের বার্তায়।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা মানুষকে সমাজের আর পাঁচটা প্রাণীর থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সঠিক শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলা এবং যথাযথ শিক্ষা পদ্ধতি একটি দেশের উন্নয়নকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। তাই শিক্ষার খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে প্রথম যখন এই দিনটি উদযাপিত হয় তখন তার মূলত তিনটি লক্ষ্য ছিল। এক, ব্যক্তি বিশেষে সাক্ষরতার গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া। দুই, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে শিক্ষার মাহাত্ম্য এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করে তোলা। সর্বশেষ এবং তিন, সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। এরপর থেকে জাতিসংঘের অন্তর্গত সমস্ত দেশে প্রায় এই দিনটির উদযাপন করে আসছে।

আরও পড়ুন –বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত সাক্ষরতার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় । সমাজের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক মুক্তি জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা একমাত্র লক্ষ্য। কারণ, সাক্ষরতা শান্তি স্থাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

 

 

Related articles

অসাংবিধানিক মন্তব্য! রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন কল্যাণ, দিলেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ

চূড়ান্ত অসাংবিধানিক এবং কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপির ‘দলদাস’ রাজ্যপাল বোসের! একজন রাজ্যপাল কীভাবে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন? শ্রীরামপুরের...

ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে শিক্ষক নিয়োগ, মঙ্গলবার শুরু এসএসসির ইন্টারভিউ 

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে প্রায় ২০ হাজার নামের প্রার্থী তালিকা। আগামীকাল, ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু...

অবাস্তব কাজের চাপ: বাংলার পর কেরল, আত্মঘাতী BLO, কাঠগড়ায় কমিশন

দেশের ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক অবাস্তব পদ্ধতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election...

শহর-কেন্দ্রে এমুনারেশন ফর্ম বিতরণে বিপত্তি! ‘নিখোঁজ’ ৩০ শতাংশ ভোটার 

রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী কর্মসূচিতে মোট ভোটারদের প্রায় ৯৯.৬ শতাংশকে এমুনারেশন ফর্ম বিতরণ করা গেলেও শহরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি...
Exit mobile version