#BJPInsultsMaaDurga : দুর্গাপুজোয় ক্লাবকে অনুদান নিয়ে বিজেপির কুৎসার পাল্টা তৃণমূল

সস্তার রাজনীতি করছে বিজেপি। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সুবিধা পাইয়ে দিতেই দুর্গাপুজো আয়োজক ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল বলছে, রাজ্যে সস্তার রাজনীতি করছে বিজেপি। ভোটের আগে পুজো কমিটিগুলো যাতে টাকা না পায় সেই চেষ্টাই করছে গেরুয়া শিবির। এর পাল্টা প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতারা পোস্ট করছেন #BJPInsultsMaaDurga ।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সিআইএ প্রধান, তালিবান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

দুর্গাপুজোর আয়োজক ৩৬ হাজার ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এমনই ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই ক্লাবের অনেকেরই কোন আর্থিক সমর্থন নেই, তাছাড়া কোভিডের কারণে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকার গত বছর এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল যাতে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। যদিও, এই বছর বিগত বছরের ঘোষিত একটি প্রকল্পের জন্য বিজেপি নির্বাচন আদর্শ আচরণবিধি প্রয়োগ করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেছেন: “ক্ষুব্ধ-পরাজিত লোকেরা আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে তারা আসলে কতটা মূর্খ। বঙ্গ বিজেপির জন্য আমরা দুঃখিত। অনেক পুজো কমিটির দুর্গাপুজো উদযাপনের বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টার মূল্য তাদেরকে দিতে হবে। মানুষ সব মনে রাখবে।”

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিজেপির বাংলার মানুষের অনুভূতির প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা থাকতো, তাহলে তারা এই ধরনের কাজ করার সাহস পেত না।”

এর আগে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রভু রামকে সমর্থন করেছিলেন এবং মা দুর্গাকে পুরোপুরি নাকচ করেছিলেন, যার প্রমাণ আছে। এটিই প্রমাণ করে যে হিন্দু সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের স্ব-ঘোষিত রক্ষাকর্তারা হিন্দু ধর্মকে বোঝেন না এবং বাংলাকেও নয়।

এই প্রসঙ্গে বাংলার মন্ত্রী শশী পাঁজা টুইট করে লিখেছেন, “আমরা ভুলে যাইনি কীভাবে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মা দুর্গাকে অপমান করেছিলেন। এখন তার দল দুর্গাপুজোর কমিটি গুলিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। এই পদক্ষেপের সঙ্গে, তাদের এই রাজ্যের অনুভূতির যে যোগাযোগ তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে আগের থেকে অনেক পরিস্কার ভাবে।”

 

“প্রথমে তারা মা দুর্গাকে অপমান করেছিল এবং এখন তারা আমাদের প্রাণের উৎসবকে অপমান করতে চলেছে! বঙ্গ বিজেপির এই ভন্ডামি কখনই কেউ ভুলবে না। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে।” রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস টুইট করেন।

নির্বাচনের সময় দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটূক্তি করতে ছাড়েননি‌ এবং তাঁকে ‘বারমুডা’ পরতে বলেছিলেন। তিনি কন্যাশ্রীর মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী ভিত্তিক সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পেরও সমালোচনা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

গতবছর বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের সরকার বাঙালিদের তাদের প্রাণের উৎসব উদযাপন করতে নিষেধ করেছিল। এই বছরও তারা একই পথে হাঁটছে। বাংলার মানুষকে সফলভাবে উৎসব উদযাপন করা থেকে বিরত রাখার এটি একটি হাস্যকর‌ প্রয়াস।

advt 19

 

Previous articleদিল্লিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সিআইএ প্রধান, তালিবান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
Next articleআন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে জীবনব্যাপী শিক্ষার স্থায়ী কাঠামো তৈরির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর