গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা রূপানির! ফের BJP-র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে?

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিজয় রূপানি। রাজ্য নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রূপানি! তবে কি বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে?

শনিবার বিজয় রূপানি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার কথা কথা ঘোষণা করেন। সাংবাদিক বৈঠকের আগে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র দেন।

সাংবাদিক বৈঠকে রূপানি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বদলায়। এ বার দায়িত্ব যাবে অন্য কারও কাছে। তাঁকে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবে। আগামী বছর গুজরাটে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই বিজেপি গুজরাটে বিধানসভা ভোটে লড়বে। তিনি আরও বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশে গুজরাটে অনেক কাজ করেছি।

রূপানির পদত্যাগের পর তার মন্ত্রিসভার একটি বিস্ময়কর মোড় আসে। উত্তরসূরী ( নতুন মন্ত্রিসভা) নিয়োগ, রাজ্যকে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে আসার অনুমতি দেওয়া,  নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক আগেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে, আগাম নির্বাচনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। একজন নতুন মুখ্যমন্ত্রী – দলের কৌশল হতে পারে।

আরও পড়ুন-আফগানিস্তানে আমেরিকার ফেলে যাওয়া ডিজিটাল তথ্য ISI-এর হাতে তুলে দিল তালিবান

নরেন্দ্র মোদি এবং আনন্দীবেন প্যাটেলের পরে ফের গুজরাটের এক বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষের আগেই সরে যেতে হল। ২০১৪-য় নরন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর উত্তরসূরি মনোনীত হন আনন্দীবেন। তবে ২০১৬-র অগাস্টে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিজয় রূপানি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি নেতা আর সি ফালড়ু, সি আর পাটিল, বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপৌলা এবং মনসুখ মাণ্ডব্যর নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে রবিবার রাজধানী গান্ধীনগরে গুজরাট বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। সেখানেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হতে পারে। গুজরাটের কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল রূপানির পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন , ‘‘করোনার ধাক্কার রাজ্যের অর্থনীতি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও বিজেপি নেতৃত্ব গুজরাটের কথা না ভেবে রাজনৈতিক সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’’

সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। এরপরই বিজয় রূপানি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

advt 19

 

Previous articleকরোনার প্রকৃত আঁতুড়ঘর কোনটা জানতে জিনপিং -বাইডেন দীর্ঘ বৈঠক
Next articleফের মোদি সরকারকে ৭ প্রশ্নবাণে তোপ ডেরেকের