বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রের তথ্যকেউ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। দেশের বর্তনান আর্থিক দুর্দশার ছবি তুলে ধরে সরব হয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিলেন অমিত মিত্র। চলতি বছরেই গত আগস্ট-এ দেশজুড়ে বেকারত্বের হার নতুন করে বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, দেশে এখন ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন। ২০১৯ সালের শেষ থেকে ২০২০ সালের শেষ দিকের মধ্যে বেতনভুক কর্মীদের প্রায় অর্ধেক অসংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় চলে গিয়েছেন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধেই ২.১ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘাটতির কথা উঠে এসেছে কেন্দ্রকে দেওয়া রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর চিঠিতে। নির্মলা সীতারমনকে লেখা চিঠিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন অমিত মিত্র।
চার পাতার চিঠিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে অমিত মিত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘কীভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিখুন। মিথ্যার ঢাক না পিটিয়ে সত্যের মুখোমুখি হন। ঘাটতির কথা মেনে নিন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মিথ্যাচার বন্ধ করুন।”
আরও পড়ুন-ফের মোদি সরকারকে ৭ প্রশ্নবাণে তোপ ডেরেকের
চিঠিতে অমিত মিত্রের আরও ব্যাখ্যা, “সাধারণ মানুষের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে সরাসরি হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে, সেটাও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পথ। এটা প্রমাণ করছে বাংলা। সার্বিকভাবে গোটা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেগেটিভ হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা পজিটিভ। তাই মরীচিকার মতো মিথ্যের আয়না না দেখিয়ে সাম্য ফেরান।”
এদিকে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছে। অথচ জিডিপি-তে সেই মানুষকেই অবদান ৫৬% বলে নির্মলা সীতারমনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অমিত মিত্র।