আরএসএসের গোপন রিপোর্টেই গুজরাতে ভোটে হারার স্পষ্ট ইঙ্গিত, তাই রূপানি বিদায়

বিরোধীরা যা বলছিল, সেটাই অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে এলো। এক বছর পরে গুজরাত ভোটে বিজেপি যে হারতে চলেছে, তা পরিস্কার হয়ে যায় দলের কাছে। তাই তড়িঘড়ি রূপানি হঠাও অভিযান।

গুজরাতে একের পর এক কাজে ব্যর্থতায় বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছিল। পঞ্চায়েত ভোটে তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই আরএসএস-এর তরফে একটি সমীক্ষা হয়। আর সেই সমীক্ষাই বলে দেয় রূপানি থাকলে গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখা মুশকিল শুধু নয়, অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই এখনই মুখ বদলাও। কিন্তু ভূপেন্দ্র প্যাটেলে কী মোদির রাজ্যে বিজেপির সুদিন ফিরবে? সে নিয়ে সন্দিহান সকলেই। বিজেপির অন্দরমহল বলছে, আপাতত নেই মামার চেয়ে কানা মামাই ভাল।

আরএসএস-এর এই গোপন সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের তরুন পাতিদার কংগ্রেস নেতা হার্দ্যিক প্যাটেল। রিপোর্টে কী দেখা যাচ্ছে? এই রিপোর্ট যদি সত্যি কথা বলে তাহলে মোদির দলের অশেষ দুঃখ আছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এখনই ভোট হলে কংগ্রেস পাবে ৪৩% ভোট এবং ৯৬-১০০টি আসন। বিজেপি কংগ্রেসের চাইতে ৫% কম ভোট পাবে। ৩৮% ভোট মোদির দল পেলে আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৮০-৮৪টি। এরপরেই স্থান নির্দলের। তারা ১৫% ভোট পেলেও আসন সংখ্যা ৪-এর বেশি হবে না। অন্যদিকে আপ আর মিম খাতা খুলতে পারবে না বলেই সমীক্ষা জানিয়েছে। বিজেপির অন্দরমহলেও এই রিপোর্ট আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি-শাহের পছন্দের হলেও দলের শীর্ষ নেতাদের দাবি, রূপানি প্রতিটি ক্ষেত্রে দলকে ডুবিয়েছেন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে। প্রায় ২৫ বছর গুজরাতে ক্ষমতায় বিজেপি। এমনিতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া আছে। তার ওপর করোনার সময়ে সরকারের ব্যর্থতা রূপানিকে ব্যাক সিটে ঠেলে দিয়েছে। ভূপেন্দ্রর ক্যারিশমা সেভাবে নেই। তিনি কী পারবেন? ক্যারিশমা না থাকলেও ভূপেন্দ্র আরএসএস ঘনিষ্ঠ। তাই আপাতত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। কিন্তু ভোটের মুখে গুজরাতে ফের মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আরও পড়ুন: দুনিয়ার দুই সেরা নেত্রী: ইন্দিরাকে দেখিনি মমতাকে দেখছি, বললেন আবেগতাড়িত প্রৌঢ়া

গুজরাতে হেরে গেলে মোদি-শাহের জন্মভূমিতেই দল ডুববে। আর তাতে দুজনের নেতৃত্বই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে।