বুদ্ধর প্রকল্প বাস্তবায়িত মমতার হাত ধরে, ‘মা’র অধিকার নিয়ে বাম-তৃণমূল তরজা

যোগীর রাজ্যে উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে কলকাতার মা উড়ালপুলের(Maa flyover) ছবি প্রকাশ্যে আসার পর ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে বিজেপি ও তৃণমূলের পাশাপাশি সেই আসরে এবার নেমে পড়ল বামেরাও(Left)। মা উড়ালপুলের কৃতিত্ব নিজেদের বলে দাবি করে ময়দানে নামল সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় বামেদের তরফে দাবি করা হয়েছে এই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের(Buddhadeb Bhattacharya) আমলে। অবশ্য সে দাবি অস্বীকার না করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে উড়ালপুলের পরিকল্পনা বাম আমলে হলেও তার সকল রূপায়ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে।

নির্বাচন মুখর উত্তরপ্রদেশে সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের ঢাক পেটাতে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের পাতা জুড়ে উন্নয়নের বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আর সেই বিজ্ঞাপন ছবি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপির এহেন মিথ্যাচারকে তুলে ধরে রীতিমতো দাগেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। দাবি করা হয় অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মেনে নিল যোগী আদিত্যনাথ। যদিও বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে এটা কোনো রকম জালিয়াতি নয়, নিতান্তই ‘ভুল’। পরিস্থিতি যখন এই পর্যায়ে ঠিক তখনই ময়দানে নামে বামেরা। এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করেন সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যাচ্ছে, পরমা উড়ালপুল হাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মমতার হাতে এসে সেটা হয়ে গেল ‘মা’। যোগী সেটা দেখাচ্ছেন উত্তমপ্রদেশের উড়ালপুল হিসেবে। ছবির ক্যাপশনে লেখা ‘মিথ্যার কি অপার মহিমা’।

এ প্রসঙ্গে টুইটারে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী লেখেন, যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে কলকাতার ফ্লাইওভার ও লাগোয়া হোটেলগুলি। সবই বাম আমলের প্রস্তাব, প্রকল্প এবং প্রায় সম্পূর্ণকরণ। মাননীয়ার আমলে পরমা থেকে মা নামকরণ এবং নীল সাদা রঙ করে চালু করা। বিজেপির মতোই মাননীয়ার বাহিনী খুশিতে ডগমগ। নকলের প্রতিযোগিতা যে!’

আরও পড়ুন:ভবানীপুর উপনির্বাচন: হিন্দিভাষীরাও মজে মমতায়, ১৬ই বৈঠক উত্তম উদ্যানে

এদিকে এ প্রসঙ্গে সিপিএমকে রীতিমতো তোপ দেগে তৃণমূল মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী বলেন, ‘ওরা সবই পরিকল্পনা করে গিয়েছে। আগে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ছিল। সিপিএমের সবই তো ৩৪ বছরের পরিকল্পনা। কিন্তু পরিকল্পনার রূপ কেউ দেখেনি। সব পরিকল্পনার শেষ টান দিতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৩৪ বছর ধরে সিপিএম একটা ব্রিজ তৈরি করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত পরিকল্পনা রূপায়িত করে সমাপ্ত করলেন মমতাই। বাংলার রাজনীতিতে ওরা অপ্রাসঙ্গিক। বেশি কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না।’

advt 19

 

Previous articleঅতিমারি পর্বে নয়া উদ্বেগ, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বর, পেটব্যাথা নিয়ে ভর্তি ১২১ জন শিশু
Next articleরাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট