ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। কেন্দ্রীয় CBI ও রাজ্যের SIT এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তারই মাঝে কলকাতার ভবানীপুর উপনির্বাচন-সহ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোট ঘোষনা করেছে কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের এই তিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। ৩ অক্টোবর গণনা। এই ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন: অসম্মানজনক: ষাঁড়-গরুর সঙ্গে এক বন্ধনীতে মহিলাদের রাখলেন আদিত্যনাথ! নিন্দা সব মহলে
এদিকে, ভোটের সময় রাজ্যে যাতে কোনওরকম রাজনৈতিক হিংসা না হয়, তা প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। এ ব্যাপারে আজ, বুধবার সকালে প্রশাসনিকস্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাস্তায় নাকা চেকিংয়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবের ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএম, এসপি, সিপি সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া ও হুগলি জেলার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য আশ্বাস দিয়েছে যে, উপনির্বাচনে আইন -শৃঙ্খলা বজায় থাকবে ও কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেজন্য কমিশন সমস্ত দায়িত্ব রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। আর এই কারণে কোভিড বিধি ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। শুরু হয়েছে নজরদারি।

