“লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা করতে পারে রাজ্য

২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর তিনিই বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে দেশের একমাত্ৰ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমবারই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যই ছিল নারী ক্ষমতায় (Women Empowerment)। এবং সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে তিনি বাংলার মহিলাদের জন্য একে একে বাস্তবায়ন করেছেন আনন্দধারা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প। আর একুশের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” (Laxmi Bhandar) প্রকল্প চালু করেছেন। এখানেও লক্ষ্য সেই নারী ক্ষমতায়ন। যেখানে রাজ্যের মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসিক ‘’হাতখরচের’’ টাকা তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গত ১৬ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া একমাস যাবৎ “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে ৯১৮৬৮টি শিবিরে ১ কোটি ৮০ হাজার মহিলার “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্প-এর আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামিদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া বরাদ্দ বাজেট যে ছাপিয়ে যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত খোদ অর্থ দফতর।
এই খাতে বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেটে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা পৃথকভাবে বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আবেদনের বহর বলছে, প্রকল্পের খরচ চলতি বছরেই ১৭-১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে বাধ্য। তাই আগামী আার্থিক বছরে ‘’লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’’-এর জন্য বাজেট বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবিত খরচের অঙ্কটা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবর্ষের জন্য এখন থেকেই বাজেট প্রস্তাব প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অর্থদফতর। এ নিয়ে আগামী অর্থবর্ষের বাজেট পেশের প্রায় ৬ মাস আগেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশও চলে গিয়ে বলেও জানা যাচ্ছে।

advt 19

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleভবানীপুরের CPIM প্রার্থী শ্রীজীবের নামে বাড়ি নেই, ৮ লাখি গাড়ি আছে!