পরীক্ষার হলে ছোট পোশাক পরা তরুণীকে পর্দায় মুড়লেন শিক্ষক! শিরোনামে সেই বিজেপি শাসিত রাজ্য

পরীক্ষার হলে ছোট পোশাকে কেন তরুণী? জবাবদিহি করতে হলো পরীক্ষকের কাছে। শর্টস পরে বছর উনিশের তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই আপত্তি পরীক্ষকের। যদিও অনেক বচসার পর পরীক্ষক নিদান দেন, পরীক্ষায় বসতে হলে পা ঢেকে বসতে হবে।

ঘটনাটি অসমের গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস-এর ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার অসমের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। তেজপুরের বিশ্বনাথ চরিয়ালির বাসিন্দা জুবিলির পরীক্ষা পড়েছিল জিআইপিএস-এ। তিনি নির্দিষ্ট সময় বাবাকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে শুরু হয় সমস্যা।

আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ না মিললে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি নবান্নর

জুবিলির কথায়, “পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পরীক্ষা যে ঘরে পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে যেতেই পরীক্ষকের বাধা দেষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন শর্টস পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না।” জুবিলির অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ডের কোথাও ড্রেসকোড নিয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু তার পরেও ওই পরীক্ষক কী ভাবে এমনটা করতে পারলেন? জুবিলি বলেন, কয়েক দিন আগেই নিট পরীক্ষা দিতে একই পরি পোশাক পরে গিয়েছিলেন তেজপুরে। সেই সময় কেউ প্রতিবাদ করেননি। তাঁর কথায়, “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে কোথাও বলা নেই যে শর্টস পরে পরীক্ষায় বসা যাবে না। এমনকি অ্যাডমিট কার্ডেও সে কথা উল্লেখ নেই। কা হলে কী ভাবে জানব শর্টস পরলে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে না!”

জুবিলি বলেন, “বাবা তখনই পোশাকের দোকানে ছুটে যান। ৮ কিলোমিটার দূরে থাকা এক পরিচিতের দোকানে যান। তিনি ফিরে আসতেই তাঁকে বলা হয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। শেষমেশ আমাকে পর্দা দেওয়া হয় পা ঢেকে বসার জন্য।” জুবিলির অভিযোগ, কোভিডবিধি মেনে মাস্ক পরা হচ্ছে কি না তা দেখা হল না। শরীরের উত্তাপ মাপা হল না, অথচ কে কী পোশাক পরে আসছে তা নিয়ে মাথাব্যথা তাঁদের।

advt 19

 

Previous articleদলবদলে চমক ইস্টবেঙ্গলের, নেদারল্যান্ডসের ড্যারেন সিডোয়েলকে সই করাল তারা
Next articleফের ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার, ১২৫ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স