ত্রিপুরা: অভিষেককে আটকানোই উদ্দেশ্য? বুধে ফের রেল ধর্মঘট বিজেপির

গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিজেপির ধর্মঘটের কারণে তৃণমূলের(TMC) মিছিলের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ(Tripura police)। এ পর ১৬ তারিখেও বাধা দেওয়া হয়েছে মিছিলে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তবে তৃণমূলের সেই কর্মসূচি রুখতে অন্য কৌশল নিল বিজেপি। আগামী ২২ তারিখ রাজ্যজুড়ে দেল ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক পোস্টার সামনে আনা হয়েছে।

বিজেপির প্রকাশিত পোস্টারে জানানো হয়েছে ওইদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত রেল অবরোধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে পুরোপুরি তৃণমূলের পদযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটানো ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওইদিন ধর্মনগর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ট্রেনে যাতে দলের কর্মীরা যাতায়াত করতে না পারেন, তাদের আটকাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে সোমবার টুইট করে রীতিমতো তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “আবার বাধার চক্রান্ত। ওরা হামলায় বীর। মামলায় বীর। রাজনীতিতে দেউলিয়া কাপুরুষ। অভিষেকের পদযাত্রার ভয়ে কত কী! 15/9 রেল ধর্মঘট ডাকল। আমরা মিছিল করিনি। ওরা তুলে নিল। এবার আবার। কোর্টে দেখা হবে। রাজপথেও।”

আরও পড়ুন:‘আমার ফাউন্ডেশনের টাকা দুর্গত মানুষের কাজে ব্যয় করা হয়’ : সোনু সুদ

অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত পুলিশের তরফে ২২ তারিখ মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গেরুয়া শিবির। সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। আগামীকাল মামলার পরবর্তী শুনানি।

advt 19

 

Previous articleদশরথ দেবের পর ফের ত্রিপুরার সিপিআইএমের শীর্ষ পদে জনজাতির প্রতিনিধি
Next articleজলপাইগুড়ি‌তে শিশুদের অসুস্থ হ‌ওয়ার সংখ্যা ক্রমশ‌ই বাড়ছে