ডবল ইঞ্জিনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, যোগী রাজ্যে কৃষি আইনের বিরোধিতায় ফুঁসছেন কৃষকরা

যোগীর রাজ্যে ফুঁসছেন কৃষকরা কৃষি আইনের বিরোধিতা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৃষকদের বেশিরভাগ অংশ। কেন্দ্রের কৃষি আইনের তীব্র বিরোধিতা করছেন উত্তরপ্রদেশের কৃষক বিশেষ করে আখ চাষীরা। এই কৃষকদের মধ্যে প্রচুর জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। বিজেপির (Bjp) পুরনো অভ্যেসেই সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে কেন্দ্রের জাঠ মন্ত্রী-প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছিল কৃষি আইন সম্পর্কে বোঝাতে। কিন্তু জনরোষের মুখে পরে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে তাঁদের। কৃষকদের স্পষ্ট মত, কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে চাষির ঘরের ছেলে হিসেবে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান জনপ্রতিনিধিরা। তাহলে তাঁদের সাদরে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রের কৃষি আইন- কালো আইন, কৃষক বিরোধী আইন। সেটা বোঝাতে এলে তাঁদের অর্ধচন্দ্র দেখানো হবে।

 

ডবল ইঞ্জিনের (Double Engine) সরকারের বিজ্ঞাপন করে বেড়ান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দেশে যেখানেই বিধানসভা নির্বাচন হয় সেখানে গিয়েই ডবল ইঞ্জিনের সরকারের গুণগান করেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহরা (Amit Shah)। কিন্তু যোগী রাজ্যে সেই ডবল ইঞ্জিনের সরকারের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ কৃষকদের। তাঁরা বলছেন, দুবার মোদিকে এবং একবার যোগীকে ভোট দিয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। তাঁদের সঙ্গে মিথ্যাচার হয়েছে, ভুল বোঝানো হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে যে আঁখের দাম পাওয়ার কথা ছিল, 13 মাসেও তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

 

একইসঙ্গে সিঙ্ঘু সীমান্তে যে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতিও উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে তাঁদের কাছে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। অথচ যে কৃষকরা দিনের পর দিন রোদ-জল মাথায় নিয়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের কাছে কেন প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে না?

 

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তবে, সেখানে কৃষকরা যোগী সরকারের উপর যে পরিমাণ ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন, তাতে কোনও ইঞ্জিনই তাঁকে টেনে পার করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

advt 19

 

Previous articleবেনজির: শাসক দলের হাতে আক্রান্ত, নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি ত্রিপুরার জেলাশাসকদের
Next articleঘূর্ণাবতের সঙ্গে ভরা কোটালের জের, বন্ধ লকগেট,দুর্ভোগে শহরবাসী