ঘূর্ণাবতের সঙ্গে ভরা কোটালের জের, বন্ধ লকগেট,দুর্ভোগে শহরবাসী

সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা এবং ঘূর্ণাবতের জোড়া ফলায় রবিবার রাত থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।  সোমবার ভোর থেকে তা আরও বেড়েছে।এরই মধ্যে দোসর পূর্ণিমা। ফলে গঙ্গায় ভরা কোটাল দেখা যাবে। অন্যদিকে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দিনভর চলবে বৃষ্টি।ফলে জলযন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাবেন না কলকাতাবাসী।

আরও পড়ুন:জলমগ্ন হাওড়া ও টিকিয়াপাড়া কারশেড, ব্যাহত রেলপরিষেবা, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৫টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে পূর্ণিমা। অর্থাৎ সারা দিনই পূর্ণিমা রয়েছে। পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ারের জল অনান্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে। যাকে চলতি ভাষায় বলে ভরা কোটাল। সোমবার সকাল সাড়ে ৫টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে পূর্ণিমা।সোমবার সকাল ৮টা ১১ মিনিটে শুরু হয়েছে ভাটা। এই সময় জলের উচ্চতা কমেছে। ভাটার সময় জলের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল প্রায় আড়াই মিটার। সকাল ১০টার পর থেকে ফের জলের উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে। বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে জলতল। সেই সময় জলের সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে সাড়ে পাঁচ মিটারের বেশি।

এদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরবাসীকে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে ইতিমধ্যেই ১৬টি বরো অফিস পাম্প চালিয়ে শহরকে জলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪০৮টি পাম্প। আরও ৪৫০টি পাম্প বিভিন্ন বরোতে রয়েছে। সকাল থেকে লকগেট খোলা থাকায় জল কিছুটা হলেও বেরিয়েছে। কিন্তু  ভরা কোটালের জন্য সাড়ে ১০টার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লকগেট। বিকাল ৩টে অবধি তা বন্ধ থাকবে। এই সময় শহরের জল শহরেই থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যার জেরে  শহরবাসীর দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

advt 19

Previous articleডবল ইঞ্জিনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, যোগী রাজ্যে কৃষি আইনের বিরোধিতায় ফুঁসছেন কৃষকরা
Next article২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের তৃণমূল, ২টোয় শুনানি