যোগীরাজ্যে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ! কিন্তু কেন?

প্রতীকী ছবি

উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার কারসৌলি গ্রাম। এই গ্রামের জনসংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে গোটা গ্রামটাই জনশূন্য হয়ে পড়ে আছে। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ছাড়া প্রায় সকলেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। সন্ধ্যা নামলে যেন শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে আসে গোটা গ্রামে।

গত কয়েক দিনে এই কারসৌলি গ্রামে অজানা জ্বরে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের ধারণা, গ্রামজুড়ে মহামারী ছড়িয়েছে। সেকারণেই তাঁরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চলে গিয়েছেন অন্যত্র। যে সমস্ত বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে, একমাত্র সেইসব বাড়িতেই দু’একজন লোক রয়েছেন।

গ্রামের প্রধান মুখিয়া গীতা শ্রীবাস্তব বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামে একের পর এক মানুষ অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছিল। ঘরে ঘরে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। কয়েক দিনের মধ্যে এই অজানা জ্বরে ১৪ জনের মৃত্যুর পর বেশিরভাগ মানুষই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন। গবাদি পশুদের দেখাশোনা করার জন্য কয়েকটি পরিবারের শুধুমাত্র পুরুষ সদস্যরা আছেন। মহিলা ও শিশুদের সবাইকে কোনও আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সক্রিয় হয়েছে কানপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গ্রামে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রমাণ মিলেছে। তবে অন্য কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।

গ্রামবাসীরা বলেছেন, বাড়ির পুরুষ ও মহিলা সকলেই কাজ করেন। কেউ কারখানার শ্রমিক, কেউ বা দিনমজুরি করেন। সকলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তো সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সে কারণেই তাঁরা কিছুদিনের জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া আগ্রা ও মথুরাতেও ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে।

আরও পড়ুন- ‘মাঠ জুড়ে খেলব এবার তৃণমূলের হয়ে’ : বাবুল

advt 19

Previous article‘মাঠ জুড়ে খেলব এবার তৃণমূলের হয়ে’ : বাবুল
Next articleআইপিএল দ্বিতীয় পর্বে জয় দিয়ে অভিযান শুরু সিএসকের