অভিষেককে আটকাতে নয়া ষড়যন্ত্র বিপ্লব দেব সরকারের, মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি

নির্লজ্জতার সব সীমা পার করেছে ত্রিপুরা সরকার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) আটকাতে আচমকা ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করল ত্রিপুরা সরকার। ফলে, মিটিং-মিছিল নিষেধাজ্ঞা জারি হল। অথচ ১৫ সেপ্টেম্বর যখন মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, তখন তৃণমূল কংগ্রেসকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় অন্য রাজনৈতিক দলের মিছিল রয়েছে। তাহলে হঠাৎ করে কেন কোভিড পরিস্থিতির ধুঁয়ো তুলে ঠিক ২২ তারিখ সকাল ছটা থেকে ৪ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করল ত্রিপুরা সরকার? এটা যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে মহামিছিল আটকানোর ষড়যন্ত্র এখন তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

ত্রিপুরা হাইকোর্টের (Tripura High Court) তরফে সোমবার ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি নিয়ে সরকারের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। ইঙ্গিত মেলে যে, আদালতের হস্তক্ষেপে ২২ তারিখ মিছিল করার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। সেই পদযাত্রায় বাধা দিতেই মঙ্গলবার আদালতে নিজেদের অবস্থানের কথা জানায় বিপ্লব দেব সরকার। কোভিড (Covid) পরিস্থিতি ও পুজোর কথা মাথায় রেখে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক মিছিল বা সভা করা যাবে না বলে হাইকোর্টকে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামায় বলা হয়।

সূত্রের খবর, এখন এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা বাতিলের কারণ হিসেবে পুলিশ বলে, ওই একই দিনে, একই রুটে, একই সময়ে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় তৃণমূলের মিছিল বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সময় কোভিড ছিল না। অথচ ২২ তারিখ থেকে কোভিড ছড়িয়ে পড়বে আর ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সেটা সক্রিয় থাকবে! এটা যে তৃণমূলের মিছিলে আটকানোর ফন্দি তা একেবারেই স্পষ্ট বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এই পরিস্থিতিতেও তৃণমূল নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।

advt 19

 

Previous articleটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া এবং টিকিয়াপাড়া কারশেড, ট্রেনের সময়সূচিতে বদল, বাতিল একাধিক ট্রেন
Next articleমিতালিদের বিরুদ্ধে সহজ জয় অস্ট্রেলিয়ার