Thursday, May 22, 2025

করোনা প্রথম ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে টানা লকডাউন। মুখ থুবড়ে পড়েছে একাধিক সংস্থা। আর এর জেরেই কাজ হারিয়েছেন অনেকে। বিগত দেড় বছরের অতিমারিতে বেকার হয়েছেন বহু বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ঘুর দাঁড়াতে শুরু করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি (IT Farms)।করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও নতুন উদ্যমে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। প্রতিভাবান তরুণদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কাজের। দেওয়া হচ্ছে ইনক্রিমেন্টও। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীর চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ।
মাসখানেক আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না।বিশেষ করে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্তের সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন চাকরির সুযোগ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। আর এখন তা একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সবথেকে বেশি। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, লিড কনসালট্যান্ট, সেলসফোর্স ডেভেলপার এবং সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়দের চাহিদা ১৫০ – ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সবথেকে বেশি চাহিদা বেড়েছে এই ক্ষেত্রগুলিতে।
নতুন কর্মী নিয়োগের জন্য সংস্থাগুলি এতটাই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে যে শুধুমাত্র নতুন চাকরির সুযোগই তৈরি হয়েছে এমনটা নয়, চাকরির ক্ষেত্রে বেতনও বেড়েছে। গতবছর যে প্যাকেজে কর্মী নিয়োগ করা হত, এখন তার থেকে বেশি প্যাকেজে নিয়োগ করা হচ্ছে কর্মীদের।আগের সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থায় এলে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৭০ – ১২০ শতাংশ বেশি মাসোহারা দেওয়ার পথে হাঁটছে একাধিক সংস্থা। এই বিশাল অঙ্কের লাফ কিন্তু অনেকটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, কতটা আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সংস্থাগুলি। আগের বছর পর্যন্তও একটি সংস্থা থেকে অন্য সংস্থায় এলে ২০ – ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মাস মাহিনা বাড়ানো হত।
তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস সম্প্রতি ঘোষণা করেছিল তারা মহিলা কর্মীদের নিয়োগের দিকে বাড়তি জোর দিচ্ছে। বিশেষ করে যে মহিলারা আগে কর্মরত ছিলেন এবং লকডাউন পরিস্থিতির কারণে কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে টিসিএস। শুধু টিসিএসই নয়, উইপ্রো, ইনফোসি প্রত্যেক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাই একই পথে হাঁটছে।

আরও পড়ুন – ১০০ কোটি ভারতীয়র আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়েছে চিন! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
২০২২ সালে কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে ১৬০ কোটি থেকে ১৭০ কোটি ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলি। সুতরাং, আপনি যদি তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হন, তাহলে এটাই আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ।
এছাড়া বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলি, যেখানে তথ্য ও প্রযুক্ত ক্ষেত্রের চাহিদা বেশি, সেই সব শহরগুলিতে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে বলে আশা করছেন অনেকে।

 

 

Related articles

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন জাপানের: অভিষেকদের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস তাকাশির

যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের (India) লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন জাপানের (Japan)। ভারত সীমান্তে পাক সন্ত্রাস ও অপারেশন...

আমার মায়ের বাড়ি এসেছি: ছবি মুক্তির আগে দক্ষিণেশ্বরে আবেগাপ্লুত কাজল

লক্ষ্মীবারের সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর জুড়ে একটু অচেনা ব্যস্ততা আর নিরাপত্তার কড়াকড়ি দেখে মন্দিরে পুজো দিতে আসা সকলেই...

মাত্রা ছাড়াচ্ছে ED, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম আদালতের

দেশের শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)কাছে কড়া ধমক খেল কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। তামিলনাড়ুর সরকারি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশির ঘটনায় ইডির...

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিলীপ-রিঙ্কুর, শান্তি কালী আশ্রমে প্রার্থনা

স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষ মজুমদারকে নিয়ে আগরতলায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip...
Exit mobile version