ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ায়। রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার টানা বৃষ্টির জেরে বেলঘরিয়ার একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি থামলেও জল নামেনি। জমা জলেই কাজ করতে হচ্ছে কারকানার শ্রমিকদের। এদিন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন কারখানার শ্রমিকরা। গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভও দেখান তারা।
আরও পড়ুন:ষষ্ঠ বিদেশী হিসাবে ক্রোয়েশিয়ার আন্তোনিও পেরোসেভিচকে সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল
এদিন অন্যান্য দিনের মতোই বেলঘরিয়ার টেক্সমেকো কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন বছর চল্লিশের শ্রমিক সোনা রায়। এদিনও কারখানায় জল সরেনি। সেই অবস্থাতেই কাজ করতে হচ্ছিল শ্রমিকদের। কাজে হাত দিতেই জ্ঞান হারান সোনা রায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই তাঁর দেহ নিয়ে কারখানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, জোর করে জমা জলের মধ্যেও শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছে। তার জন্যই এই বিপদ।
অন্যদিকে গত তিনদিনে রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে । এই প্রসঙ্গে পুর প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা অস্বাভাবিক বষ্টি হয়েছে। কলকাতা, এবং লাগোয়া অনেক অংশ এখনও জলমগ্ন। খালগুলি পরিষ্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে তাড়াতাড়ি জল বেড়িয়ে যায়। যাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে আছে সরকার। যথাযথ সাহায্য করা হবে।”