৩ দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের

আগরপাড়ায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

৩ দিনে রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জমা জলের দুর্ভোগের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার। বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তার মধ্যে এক জনের বাড়ি মালদহে। বাকি দু’জন বেলঘরিয়া এবং আগরপাড়ার বাসিন্দা।

গতকাল রাতে আগরপাড়ার তারাপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দীপক চৌধুরী (৬৫) নামের এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার সকালে বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো কারখানার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সোনা রায় (৪০) নামে সেখানকার এক শ্রমিকের। অভিযোগ, ওই শ্রমিককে জমা জলের মধ্যেই কাজ করতে বাধ্য করেন কারখানার কর্তৃপক্ষ। তাঁর মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন-দলনেত্রীর মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ! ১ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবেন দিদি, দাবি অনুব্রতর

অন্যদিকে মালদহের মোথাবাড়ি থানার সারাফত এলাকায়। প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতর নাম সিদ্দিকী শেখ (৬০)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে হবিপুর থানার ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে গ্রামে খাবার জল আনতে গিয়েছিলেন সেই সময় রাস্তায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। না বুঝতে পেরে ওই এলাকার তুলসী মণ্ডল নামে (৩৭) বছরের এক গৃহবধূ পা দিয়ে দেয়। তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কাজল গ্রামীণ হাসপাতালে সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত গৃহবধূর পরিবার সহ গোটা গ্রামে। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার গাজোল থানার নরসিংহডাঙ্গা এলাকায়। সেখানে গতকাল বিকেলে অন্যান্য দিনের মতো জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন (৩৮) বছর বয়সে হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য নামে এক কৃষক। সেখানে ট্রান্সফারমার তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। হাত দিতেই তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তার চিৎকারে আশপাশের অন্যান্য কৃষকেরা ছুটে আসেন। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।

বুধবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দমদমে দুই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম অনুষ্কা নন্দী (১৪) এবং স্নেহা বণিক (১২)। অনুষ্কা বান্ধবনগরের এবং স্নেহা মতিঝিলের বাসিন্দা। রাস্তায় জমা জল পেরিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিয়েছিল অনুষ্কা। তখনই সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় স্নেহারও। অন্যদিকে, মঙ্গলবার খড়দহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ত্রাণ দিতে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন দুই যুবক। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের ভুপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া এলাকায় ঘটেছিল এই ঘটনা।

advt 19

 

Previous articleবেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে পুলিশি সংঘর্ষে উত্তাল অসম
Next articleমুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় কেকেআরের