প্রয়াত নারী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী কমলা ভাসিন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন কমলা ভাসিনের মৃত্যু হয়েছে।
কমলা ভাসিন একাধারে ছিলেন লেখিকাও। ‘কিউ কি ম্যায় লড়কি হু, মুঝে পড়না হ্যায়’- এর মতো বিখ্যাত বই তাঁর কলমে উঠে এসেছে। ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ায় ‘ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং’ আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা কমলা ভাসিন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালিয়েছিলেন লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে।
সাতের দশক থেকেই নারী আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন কমলা ভাসিন। পরে ২০০২ সালে তিনি সঙ্গত নামক একটি ফেমিনিস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। কমলা ভাসিন এর মাধ্যমে প্রান্তিক আদিবাসী মহিলাদের প্রশিক্ষিত করার কাজ করতেন।
আরও পড়ুন-বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দুর্যোগ সামলাতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল
রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করে কমলা ভাসিন চলে গিয়েছিলেন পশ্চিম জার্মানির মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। জার্মানির ফাউন্ডেশন ফর ডেভলপমেন্ট ওরিয়েন্টেশন কেন্দ্রে কিছুদিন কাজ করে কমলা দেশে ফিরে আসেন। বিজ্ঞাপনী পণ্যতে নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তার বিরুদ্ধে সব সময় সরব হয়েছেন কমলা।
কমলার মৃত্যুতে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী প্রশান্ত ভূষণ, হর্ষ মান্দার-সহ বহু বিশিষ্ট গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। কবি ও বহু গ্রন্থের লেখিকা কমলা ভাসিন নিজেকে ‘প্রশিক্ষণ নেওয়া সমাজবিজ্ঞানী’ বলতে ভালবাসতেন।