শহরবাসীকে জল যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই দিতে লালবাজারে চালু হল বিশেষ কেন্দ্র

টানা বৃষ্টিতে এখনও শহরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন। এরইমাঝে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেইসঙ্গে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে এবার লালবাজারে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার খুলল কলকাতা পুলিশ। গতকাল দুপুর থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হওয়া এই কেন্দ্র তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই কেন্দ্রের নোডাল অফিসারের পদে রয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী। এছাড়াও পুলিশ, পুরসভা, এনডিআরএফ,দমকল, সিইএসসি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরাও একসঙ্গে এই কেন্দ্রে কাজ করবেন। এরফলে প্রাকৃতিক যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলা করার অনেক সহজ হবে।

আরও পড়ুন:ভবিষ্যতে মমতার সুর করা গানে গাইতে চান কামারহাটির বিধায়ক

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই দুর্যোগ মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। তার মধ্যে ন’টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাতটি থানায়। কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানায় থাকবে দু’টি করে দল। এ ছাড়া আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর, নিউ মার্কেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানায় থাকছে একটি করে দল। পাশাপাশি, জমা জলের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বডিগার্ড লাইন্স এবং পিটিএসে তৈরি রাখা হয়েছে পাঁচটি দলকে। তারা পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকাজে নামবেন। এমনকি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি দলের সঙ্গে পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি থাকবে। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য একটি নৌকাও রাখা হয়েছে।

উদ্ধারকাজ সহজেই করতে ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফে যে সমস্ত জায়গায় জল জমে তার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  উদ্ধার করা মানুষজনকে যাতে নিরাপদ স্থানে রাখা যায়, তার জন্য আশ্রয় হিসেবে স্কুল বা কলেজ ভবন দেখে রাখতেও বলা হয়েছে। পুরনো, জীর্ণ বাড়ির তালিকা বানিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যও নির্দেশ এসেছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুত করার জন্য তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে।

advt 19

Previous articleঢাকায় শুরু হল বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী
Next articleপ্রয়াত নারী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী কমলা ভাসিন