প্রচারে বিক্ষোভের মুখে দিলীপ, বন্দুক দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা নিরাপত্তারক্ষীদের!

ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ আজ। শেষ দিনের প্রচারে কার্যত রণক্ষেত্র ভবানীপুর। যদুবাবুর বাজারের কাছে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বন্দুক দেখাযয় নিরাপত্তারক্ষীরা এমনই অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায় এই ঘটনাতে। দিলীপ ঘোষের উপরেও হামলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: পার্টির চাপে জবাবি টুইট লকেটের, ফের পাল্টা কুণাল

এরপরেই ঘটনা ঘটনাস্থলে চলে পৌঁছন ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আর ভয় পেয়েছে বলেই এভাবে হামলা করা হচ্ছে। যত ওরা হামলা চালাবে তত কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কড়া হবে বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর। এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলাতে সুরক্ষিত নয় কেউ। সেটা আবার প্রমাণ হল।

এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলেন, এতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। মানুষ তো এদের প্রাধান্য দেয়না। সাধারণ মানুষ এই ঘটনার প্রতিরোধ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।

এদিন সকালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে প্রচারে বেরিয়েছিলেন অর্জুন সিং। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এমনকী ‘বহিরাগত’ বলেও কটাক্ষ করা হয় তাঁকে। বিক্ষোভের জেরে প্রচারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন বারাকপুরের সাংসদ। এলাকা ছাড়েন অর্জুন সিং।
advt 19

 

Previous articleবাংলাদেশে একটি স্কুলেরই ৮৫ ছাত্রীর বিয়ে! উদ্বিগ্ন শিক্ষক শিক্ষিকারা
Next articleবকেয়া কাজ ফেলে রাখা চলবে না, অক্টোবরেই মিটিয়ে ফেলতে অভিযোগের ফাইল, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর