বাংলাদেশে একটি স্কুলেরই ৮৫ ছাত্রীর বিয়ে! উদ্বিগ্ন শিক্ষক শিক্ষিকারা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:

টানা দেড় বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল বাংলাদেশের স্কুল। এই সময়েই ওপার বাংলার অনেক স্কুলছাত্রীরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে একটি স্কুলেরই ৮৫ জন ছাত্রীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এত জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে সেটা জানা গিয়েছে স্কুল আবার খোলার পরেই।এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতর।এলাকার অন্য স্কুলে কতজন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে সেটা নিয়েও খোঁজখবর নিতে শুরু করে দিয়েছেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান খন্দকার জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে আবার স্কুল খোলার পরে দেখা যাচ্ছিল যে স্কুলে উপস্থিতির হার খুব কম। কেন ছাত্রীরা স্কুলে আসছে না সেটা জানার জন্য ওই পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। আর তখনই বিয়ের বিষয়টি জানা যায়।

আরও পড়ুন – ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণের পর ফেলে রাখা হল রেললাইনে
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে এই স্কুলের মোট ৩৪৫ জনের মধ্যে ৮৫ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই বিষয়টি আমাদের এলাকার শিক্ষা আধিকারিককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’ ওই স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগেও এই স্কুলের অনেকে ছাত্রীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্কুল খোলা থাকায় সেটা জানার পরে ওই বিয়েগুলি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হলেও স্কুল বন্ধ থাকার সময় তারা সেটা করতে পারেননি।এই সময়ে বাল্যবিবাহ যে বেড়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খয়বর আলী। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের এলাকায় বাল্যবিবাহ বেড়েছে। এই ধরনের বিয়ে বন্ধ করার জন্য আমরা সব এলাকাতেই সচেতনতামূলক প্রচার চালাবো।’ দারিদ্রতা এবং আরও কিছু কারণে এই ধরণের বিয়ে বাড়ছে বলেও মনে করেন তারা।

 

advt 19

 

Previous articleপার্টির চাপে জবাবি টুইট লকেটের, ফের পাল্টা কুণাল
Next articleপ্রচারে বিক্ষোভের মুখে দিলীপ, বন্দুক দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা নিরাপত্তারক্ষীদের!