১০০-এর মধ্যে কেউ ২০০, কেউ ১৯৮! অপদার্থতার নজির গড়ল বিশ্বভারতী

পরীক্ষা ১০০ নম্বরের। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ পেয়েছে ২০০, কেউবা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। বিশ্বভারতীর এমএড এর প্রকাশিত এইরকম মেধা তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পড়ুয়াদের।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতি আর অপদার্থতায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তেমনি তার কেন্দ্র-নিযুক্ত উপাচার্য! যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছিল সারা বিশ্বে, এখন তা কালিমালিপ্ত। সেই ঐতিহ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ আবার পুড়ল। এবার নম্বরবিভ্রাট। এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশের পর উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের নম্বর দেখে নিজেরাই ভিরমি যাচ্ছেন। ১০০-য় কেউ পেয়েছেন ২০০, কেউ ১৯৮ বা ১৫১।

বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিনয়ভবনের এমএডের ফল বেরোনোর পর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। বিশ্বভারতীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিনয়ভবনের শিক্ষাবিভাগের প্রধান বেনুধর চীনারা দিনকয়েক আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই পুরনো কমিটির সদস্যদের সরিয়ে নিজের পছন্দমতো অধ্যাপকদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেন। সেই কমিটি এই মেধাতালিকা প্রকাশ করে।

ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্বভারতী জুড়েই চলছে অরাজকতা। অভিভাবকহীন বিশ্বভারতীকে ঠিক পথ দেখানোর কেউ নেই! আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন, আধিকারিকরা নিজের পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি তৈরি করে ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। একজন বিভাগীয় প্রধান মেধাতালিকায় যখন সই করছেন, তখন এই মারাত্মক ভুলের দায় অস্বীকার কোনোভাবেই করতে পারেন না।

আরও পড়ুন- “কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না”, রাহুলের হাত ধরে নতুন ইনিংস শুরু কানহাইয়ার advt 19

 

Previous articleকলকাতায় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহ, বুধে যোগ তৃণমূলে!
Next articleনিউইয়র্ক টাইমসে মোদি বন্দনার ভুয়ো ছবি প্রচার আইটি সেলের, কটাক্ষ শান্তনুর