“কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না”, রাহুলের হাত ধরে নতুন ইনিংস শুরু কানহাইয়ার

বিগত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল সিপিআই(CPI) ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার(Kanhaiya Kumar)। সেই জল্পনাকে সত্যি করে মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদরদফতরে রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) উপস্থিতিতে হাত শিবিরে যোগ দিলেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া ও গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেবানি(Jignesh mevani)। এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কানহাইয়া জানালেন, “দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস যদি না বাঁচে তবে এই দেশও বাঁচবে না।”

এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কানহাইয়া কুমার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি কংগ্রেস দলে যোগ দিলাম কারণ আমি বিশ্বাস করি এই দেশে কিছু মানুষ শুধু মানুষ নয় বরং তারা একটি চিন্তাধারা। তবে এই দেশে যারা ক্ষমতার অনিন্দ্য বসে রয়েছে। তারা শুধু ক্ষমতা দখল করেনি বরং এই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি কংগ্রেসে যোগ দিতে চাই কারণ আমি মনে করি কংগ্রেস টিকে না থাকলে দেশ টিকবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি কারণ এটি শুধু একটি দল নয়, এটি একটি চিন্তাধারা। এটি দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দল। এবং আমি ‘গণতান্ত্রিক’তার উপর জোর দিচ্ছি। শুধু আমিই নই, অনেকে মনে করেন যে দেশ কংগ্রেস ছাড়া বাঁচতে পারে না।”

আরও পড়ুন:দলত্যাগের আগেই CPI পার্টি অফিস থেকে AC খুলে নিলেন কানহাইয়া

একইসঙ্গে কানহাইয়া আরও যোগ করেন, “আমি বিশ্বাস করি যে আজ এই দেশের জন্য ভগৎ সিংয়ের সাহস, আম্বেদকরের সমানাধিকার এবং গান্ধীর ঐক্যের প্রয়োজন। আমি মনে করি এই দেশ ১৯৪৭-এর পূর্বের অবস্থান চলে গেছে। যখন গোটা বস্তিতে আগুন লাগে, তখন বেডরুমের কথা চিন্তা করা উচিত নয়। আজ এদেশে ক্ষমতার অলিন্দে থাকা শাসককে প্রশ্ন করার ঐতিহ্যকে বাঁচানোর প্রয়োজন আছে। বিরোধী যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে শাসক নিরঙ্কুশ হয়ে ওঠে। যে দল সবচেয়ে বড় বিরোধী রাজনৈতিক দল তাকে যদি বাঁচানো না যায়, যদি বড় জাহাজ না টিকে থাকে তাহলে ছোট নৌকো বাঁচবে না। একমাত্র কংগ্রেস পারে একটি আদর্শগত সংগ্রামের পথ দেখাতে। যুদ্ধে নামলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায় সেটা নিয়েই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।”

advt 19