কাউন্টডাউন শুরু। কয়েকক্ষণের অপেক্ষা মাত্র। তারপরই ভবানীপুর হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনের ফল। জানা যাবে, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র গেল কাদের দখলে!
তবে গোটা দেশের নজর এখন ভবানীপুরের দিকে। কারণ, এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে,সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা প্রক্রিয়া। মোট ২১ রাউন্ড গণনা হবে। তাই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে ভবানীপুরের শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল। যার প্রথম বলয়ে থাকবে স্থানীয় পুলিশ। দ্বিতীয় বলয়ে রাজ্য পুলিশ। আর তৃতীয় বলয় – অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান।সকালে গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর,জঙ্গিপুরে ২৬ রাউন্ড এবং সামশেরগঞ্জে ২৪ রাউন্ড গণনা হবে।এই দুই কেন্দ্রের গণ্না হবে জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে।সেখানেও নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই গণনার প্রস্তুতি চলছে। এখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। বাকিদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে হবে, মোবাইল রিসিভিং কাউন্টারে। গণনাকেন্দ্রে করোনা বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কাউন্টিং এজেন্ট ও অন্য যাঁরা প্রবেশ করবেন, তাঁদের আরটিপিসিআর টেস্ট বা দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক। জমায়েত করা যাবে না। বিজয় মিছিল হবে না।
ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিঞা। তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাস। তবে,সামশেরগঞ্জে লড়াই এবার চতুর্মুখী।এখানে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ। সিপিএম প্রার্থী মোদাসসর হোসেন।