শীতলা মন্দির-গুরুদ্বারে প্রার্থনা: লখিমপুরের ঘটনায় নিন্দার ভাষা নেই, বললেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

উপনির্বাচনের আগে গিয়েছিলেন ভবানীপুর শীতলা মন্দির ও গুরুদ্বারে বিপুল ভোটে জয়ের পরে ফের সোমবার বিকেলে দু’জায়গাতেই পুজো-প্রার্থনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay), তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)-সহ অনেকে। গুরুদ্বার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লখিমপুরের (Lakhimpur) ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনায় নিন্দার কোনও ভাষা নেই”।

লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত এক বছর ধরে আন্দোলন রাস্তায় আন্দোলন করছেন কৃষকরা। আর তাঁদের উপর অত্যাচার চলছে। তাঁর পাঠানো তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদলকেও বারবার আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, যেখানেই তাঁদের নেতা-মন্ত্রীরা যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপিশাসিত সেইসব রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি ত্রিপুরা এবং অসমের উল্লেখ করেন। মমতা জানান, এর আগেও হাথরাসে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “যে সরকার এত ১৪৪ ধারা জারি করে, জনগণের উচিত তাদের বিরুদ্ধেই ১৪৪ ধারা করে দেওয়া”। লখিমপুরের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত, উত্তরপ্রদেশে কোনও গণতান্ত্রিক সরকারের নেই- প্রতিক্রিয়া মমতার।

এদিন বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে শীতলা মন্দিরে গিয়ে পুজো-আরতি করেন মমতা। সেখান থেকে হেঁটে যান গুরুদ্বারে। রাস্তার দু’পাশে ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানান। তিনিও সেখানে জনসংযোগ সারেন।

advt 19

 

Previous articleপ্রার্থী ঘোষণা হয়নি অথচ ৪ কেন্দ্রে নির্বাচনী কমিটি গড়ে ফেলল বিজেপি
Next articleতাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কার করে চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী