জাগো বাংলা” শারদ সংখ্যা প্রকাশে নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শোনালেন কুণাল

“জাগো বাংলা” শারদ সংখ্যা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার দিন বিকেলে নজরুল মঞ্চে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছিল চাঁদের হাট। নেতা-মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা তো ছিলেনই, সেই সঙ্গে ছিলেন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সংগীত শিল্পীরাও। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের বিভিন্নস্তরের নেতৃত্ব। কর্মী-সমর্থকরা।

 

এদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের উপস্থিতিতে এদিন নজরুল মঞ্চ ছিল জমজমাট। সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনে এই পুজো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। শারদ সংখ্যা প্রকাশের এই অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে আয়োজন করায় দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি সঞ্চালক তথা জাগো বাংলা শারদ সংখ্যার অন্যতম রূপকার কুণাল ঘোষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জাগো বাংলার সমস্ত সাংবাদিক কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

 

এই মঞ্চ থেকেই দলনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষ জানান, গত ২১ জুলাই দৈনিক জাগো বাংলা দৈনিক পত্রিকা হয়ে প্রকাশের পর থেকে তা দ্রুত মানুষের কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তথ্য, পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। এবং আগামী দিনে বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে জাগো বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই পরিকল্পনাও জানান তিনি। পাড়ার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জাগো বাংলার স্ট্যান্ড ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী দিনে হকার ভাইদের সঙ্গে একসাথে সকাল সকাল উঠে মানুষের বাড়ি বাড়ি জাগো বাংলা পৌঁছে দেওয়ার কাজ তৃণমূল নেতৃত্ব করবে বলেও জানান কুণাল ঘোষ। এবং এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একাধিক সভাও করার কথা জানান তিনি।

 

নজরুল মঞ্চে এদিনের অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল মহাসচিব জাগো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, শতাব্দী রায়, মালা রায়, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু, দেবাশিস কুমার, তাপস রায়, হুমায়ন কবীর, মদন মিত্র, নির্মল মাজি, অর্পিতা ঘোষ, সুদীপ রাহা, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের সমস্ত নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুরি, সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা সহ আরও বিশিষ্টজনেরা।

advt 19

 

 

Previous article‘জাগোবাংলা’-র উৎসব সংখ্যায় রেলকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের কড়া জবাব মমতার
Next articleপাকিস্তানের জাতীয় দলের কোচ হতে নারাজ আক্রম