গোপালমাঠের রায় পরিবারে সপ্তমীতেই সিঁদুর খেলার বিধি

পাঁচদিনের পুজো শেষে পান-মিষ্টি-সিঁদুরে বরণ করে উমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠান বাংলার বধূরা। কিন্তু দুর্গাপুজো ঘিরে সারা রাজ্যে বিভিন্ন রীতি পালিত হয়। যেমন গোপালমাঠের রায় পরিবার। মহাসপ্তমীর সকালেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন এই পরিবারের মহিলারা। আড়াইশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নিয়মই চলে আসছে পরিবারের দুর্গোৎসবে।

পরিবারের অন্যতম প্রবীণ সদস্য মনোরঞ্জন রায় (Manoranjan Ray) এবং দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Tmc) কাউন্সিলর মানস রায় বলেন, গোপালমাঠের রায় পরিবারেই এমন একটি নিয়ম চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। পারিবারিক রায়পুকুরে নবপত্রিকা স্নানের পর যথানিয়মেই দেবীর পুজো হয়। পরিবারের সদস্য তরুণ রায় ও বরুণ রায় বলেন, রায় পরিবারের দুর্গাপুজোর বিশেষত্বই হল সমস্ত বধূর মহাসপ্তমীর সকালেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। কেন দশমীতে সিঁদুর খেলা হয় না? সঠিক কারণ জানাতে না পারলেও বরুণ বলেন, হয়তো দেবী মা স্বপ্নাদেশ দিয়ে মহাসপ্তমীতেই সিঁদুর খেলার বিধান দিয়েছিলেন। তাই সেই নিয়মই চলে আসছে। পুজো উপলক্ষ্যে যে যেখানে থাকেন, সকলেই একত্রিত হন ।

দেবীর স্থায়ী মন্দিরের দাওয়াতেই চলে চারদিনব্যাপী খাওয়া দাওয়া। পরিবারের সদস্যা রিনা রায়, স্রোতা রায়, ঈশিতা রায়রা জানালেন, এই রায় পাড়ায় মোট তিনটি দুর্গাপুজো হয়। ব্রাহ্মণ প্রধান রায় পরিবার ছাড়াও একটি বাউরি সম্প্রদায়ের এবং একটি হাড়ি সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজো হয় । তবে প্রথমে রায় পরিবারের পক্ষ থেকেই নবপত্রিকা স্নান করানোর পরই অন্যান্য পরিবারের নবপত্রিকার স্নানযাত্রা শুরু হয়। রায় পরিবারের দেবীপুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই মহাষ্টমীতে মন্ডা বলিদানের প্রথা রয়েছে।

advt 19

 

Previous articleগতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি ?
Next articleত্রিপুরা: দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির হামলা, পুজোর পর আইন অমান্য আন্দোলনে তৃণমূল