চেন্নাইয়ে পুজোয় মাতোয়ারা বাঙালিরা, মণ্ডপে রাখা ‘জাগো বাংলা’-র উৎসব সংখ্যার চাহিদা তুঙ্গে

 

জয়িতা মৌলিক

দেশজুড়ে যেখানেই বাঙালি সেখানেই পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। আর পুজো উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার চাহিদাও বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে দেশের নানাপ্রান্তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) প্রবন্ধ পড়ার প্রবল আগ্রহ প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে। সঙ্গে স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের রচনা সমৃদ্ধ ‘উৎসব সংখ্যা’-র চাহিদা পাঠকদের মধ্যে তুঙ্গে।

দক্ষিণ ভারতের এই শহরে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর যেখানে বাঙালি, সেখানেই দুর্গাপুজো। তামিলনাড়ুতে কোভিড (Covid) বিধির কড়াকড়ি রয়েছে। সে কারণেই এবছর স্বল্প পরিসরে দুর্গাপুজো করছে সাউথ মাদ্রাজ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (Cmca))। তবে, বাঙালি যখন, তখন দুর্গাপুজোতে পূজাবার্ষিকী তো চাই-ই-চাই। সে কারণেই এবার তাদের দুর্গাপুজোর মণ্ডপেই রয়েছে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা। সংগঠনের সদস্য প্রদ্যুৎকুমার ঘোষ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের (Tmc) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা সমৃদ্ধ ‘জাগো বাংলা’-র উৎসব সংখ্যার চাহিদা চেন্নাই বাঙালিদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি। বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের রচনা, গল্প-প্রবন্ধ-কবিতা, চিত্রনাট্য, স্মৃতিচারণ- এইসব কিছু পড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন প্রবাসী বাঙালিরা। আর সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কলকাতা থেকে অনেকগুলি উৎসব সংখ্যা নিয়ে নিজেদের দুর্গা মণ্ডপেই রেখেছেন প্রদ্যুৎকুমার ঘোষরা (Pradyut Ghosh)। ইতিমধ্যেই তার বেশিরভাগই সংগ্রহ করে নিয়েছেন সদস্যরা। এমনকী, পুজোর ফাঁকে সেই উৎসব সংখ্যায় চোখ বুলিয়েছেন পুরোহিত মশাইও।

সিএমসিএ-র পুজোতে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। পুজোর দুদিন আগে থেকেই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তৈরি করেন নারকেল নাড়ু। সঙ্গে প্রতিদিনই থাকছে বিভিন্ন ভোগের আয়োজন। আর সন্ধে হতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ-গান-আবৃত্তি-শ্রুতিনাটক বাদ যাচ্ছে না কিছুই। সব মিলিয়ে বাংলার বাইরে এক টুকরো বাঙালিয়ানা ধরা পড়েছে এই দুর্গাপুজোয়। আর সেই সোনায় সোহাগা ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা।

advt 19

 

 

Previous articleরাত পোহালেই বিজয়া দশমী, মায়ের নিরঞ্জনে ঘাটে ঘাটে প্রস্তুতি তুঙ্গে
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ