দার্জিলিং পাহাড় ও লাগোয়া সমতলে বৃষ্টির দাপট একটু একটু করে কমছে। তবে গত তিন দিন লাগাতার বর্ষণের জের এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিয়ের বিজনবাড়ি এলাকায় ফের ধস নেমেছে। তাতে লোধামা-বিজনবাড়ি যোগাযোগ আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ধস সরানো চলছে। এদিকে বৃষ্টির দাপট একটু কমতেই গ্যাংটকের রাস্তায় পর্যটকের ঢল নেমেছে । শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ওই রুটে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছে পূর্ত দফতর।
কালিম্পঙে নতুন করে ধস নামেনি। কিন্তু, আলগাড়া ও লাভার মধ্যে যে রাস্তা ধসে বিধ্বস্ত হয়েছিল তা পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী হয়নি। ফলে, নিয়ন্ত্রিত ভাবে যান চলাচল করছে। শিলিগুড়ি কালিম্পং রুটে লিকুভিরের কাছে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।
শিলিগুড়িতে মাটিগাড়ায় বালাসন সেতু কিছুটা হেলে গিয়েছে। সেই সেতুর উপর দিয়ে আপাতত কোনও বড় গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় সড়কের বদলে নৌকাঘাট দিয়ে সব বাস, চার চাকা ও তিনচাকার গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ধসের জেরে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ায় কয়েক হাজার পর্যটকের সোচনীয় অবস্থা পাহাড় ও ডুয়ার্সে। অনেককেই পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। পাহাড় ছেড়ে সকলেই দ্রুত সমতলে নামার চেষ্টা করছেন। তবে সান্দাকফু এলাকায় আটকে যাওয়া পর্য়টকদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। প্রসাসন জানিয়েছে, ওই রুটকে স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে।