লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Pujo) মিটতেই ফের হাসি গৃহলক্ষ্মীদের মুখে। লক্ষ্মীবারেই রাজ্যের ১ কোটির বেশি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের টাকা। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তাঁদের অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারেই সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের টাকা একসঙ্গে ঢুকে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১,০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব (CS) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Drevedi)।
অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee) ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়, যেমন কথা তেমন কাজ করতে ভালবাসেন তিনি। যদিও উপনির্বাচন থাকায় কোচবিহার, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া যাবে না। তাই এই চার জেলার আবেদনকারী মহিলারা নভেম্বর মাসে একসঙ্গে তিন মাসের টাকা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই খুশির হাওয়া রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে। রাজ্যে এমনও বহু মহিলা রয়েছেন, যাঁরা বছরের প্রতিটি দিন শুধু সংসার আগলেই থাকেন। স্বামী-সন্তান, সংসারের বাকি পাঁচজনের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেদের বহু ইচ্ছাকে চেপে রাখেন হাসিমুখেই। আবার এমন অনেক অভাবী মহিলা আছেন যাঁদের কাছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার মূল্য অনেক বেশি। তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের টাকা খুব ভাল একটি উপহার।
উল্লেখ্য, তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।