“জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন দুটি ফাইল পাস করানোর জন্য ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল আমাকে। যদিও আমি সেই ফাইল পাশ করিনি।” সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মেঘালয়ের বর্তমান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। শুধু তাই নয় যে দুটি ফাইল তার কাছে এসেছিল একটি ছিল আম্বানি ঘনিষ্ঠ এবং অন্যটি আরএসএস ঘনিষ্ঠ। এদের একজন আবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম রাজ্যপালের এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদি এ প্রসঙ্গে সত্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য, আমি কখনো অন্যায় করিনি, কোন দুর্নীতিকে সমর্থন করিনি, যার ফলে সাহসের সঙ্গে সত্যিটা বলতে পারি। যদি করতাম তাহলে এতদিনে ইডি ও ইনকাম ট্যাক্স আমার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যেত।
সম্প্রতি সত্যপাল বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন তার কাছে দুটি ফাইল আসে। প্রতি ফাইল পিছু ১৫০ কোটি টাকা করে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু দুটি ফাইল তিনি পত্রপাঠ বাতিল করে দেন। এই দুটি ফাইলের একটি ছিল আম্বানিদের এবং দ্বিতীয়টি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বড় অফিসারের। দুজনের একজন মেহবুবা মুফতির মন্ত্রিসভার মন্ত্রী এবং দ্বিতীয় জন খোদ প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ। এর পাশাপাশি নিজের প্রসঙ্গে সত্যপাল আরো বলেন, “যখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভিপি সিং আমাকে আলাদা ভাবে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন সত্যপাল সামলে কাজ করবে। বেইমানি করলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করা যায় না। আমাকে এবং তোমাকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ফলে নিজেকে পরিষ্কার রাখবে।”
আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন,প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ এক ব্যক্তির
পাশাপাশি তিনি আরো জানান, আমি যখন কাশ্মীর থেকে সদ্য ফিরে এসেছি তখন কৃষকদের পক্ষ নিয়ে অনেক কিছু বলেছিলাম। যদি আমি কাশ্মীরে কিছু করতাম তো আমার বাড়িতে এতদিন ইডি পৌঁছে যেত, ইনকাম ট্যাক্স পৌঁছে যেত। আজও আমি বুক ফুলিয়ে কথা বলি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্ত সংস্থা রয়েছে সমস্ত রকম তদন্ত করুন, কিন্তু আমি পরোয়া করি না।