লক্ষ্য ৪-০। আর সেই লক্ষ্যে শনিবার জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। গোসাবায় নির্বাচনী প্রচার সারার পর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের(Shovandeb Chatterjee) সমর্থনে খড়দহ(Khardha) বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার এসে তিনি জানিয়ে দিলেন, “৫০ হাজারের বেশি মার্জিনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল(TMC) জয়লাভ করবে।” শুধু তাই নয়, দেশ থেকে বিজেপির অপশাসন সরাতে তৃণমূলই যে একমাত্র বিকল্প এদিন তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনে নির্বাচনী প্রচারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল শুধুমাত্র আর কালিম্পং থেকে সাগর পর্যন্ত দল নয়। গোটা দেশ তৃণমূলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এখানে ৪-০ করার পর গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছি আমরা। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৫টি রাজ্যে বিজেপিকে হারাবে তৃণমূল। এক বছরের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ টি রাজ্যে সংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করব আমরা। খেলা এখন দেশজুড়ে হবে।” পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় বারবার আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম এক দফায় নির্বাচন করার জন্য। ওরা শোনেনি। বহিরাগতরা এসে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিল। এক দফায় নির্বাচন হলে কাজল সিনহার মত মানুষকে আমাদের হারাতে হতো না।”
পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি আরো বলেন, “যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সব জায়গায় মানুষের অবস্থা ভয়াবহ। কৃষকদের গাড়িচাপা দিয়ে মারা হচ্ছে। ত্রিপুরায় মহিলা সাংসদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের হিংসাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। কত বড় নির্লজ্জ এরা একবার ভাবুন। হিংসার ঘটনাকে অস্ত্র করে। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “কাজল সিনহার ছবি লাগিয়ে প্রচার করছে বিজেপির প্রার্থী। কত বড় নির্লজ্জ এরা ওদের প্রচারে ওরা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের ছবি ব্যবহার করুক। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করতে চাইছে।”
আরও পড়ুন:শুধু গোসাবা নয় এটা ভারতবর্ষকে বাঁচানোর নির্বাচন: বিজেপিকে উৎখাতের ডাক অভিষেকের
পাশাপাশি ভোটের আগে যারা দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এদিনের জনসভা থেকে তাদের উদ্দেশ্য বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়দহের মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আমি আমাদের দলনেত্রীকে বলেছি দলীয় কর্মী সমর্থকদের আবেগকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য। দোর বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আপনাদের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে বিশ্বাসঘাতকদের দলে কোনো রকম জায়গা দেব না।”