উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন নভেম্বরের ১৫ তারিখের পর খুলে দেওয়া হবে স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। তবে যেহেতু এখনও করোনা মহামারির হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়নি, তাই কোভিড বিধি মেনে উপযুক্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েই যাতে স্কুলে পঠন-পাঠন সেই বিষয়টিতে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চলবে পঠন-পাঠন চালু করা হবে। সপ্তাহে সবদিন সব ক্লাসের পড়ুয়ার আসবে না। সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহে ৫ দিন পালা পালা করে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা রোটেশন পদ্ধতিতে বিদ্যালয়ে যাবে। তবে কবে কোন ক্লাস হবে সেই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগের মতোই মার্চ-এপ্রিলে স্কুলে গিয়েই হতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রাইমারি ও পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়টিও নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার কুণাল সরকার থেকে শুরু করে শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক, অনির্বাণ দলুইরা মুখ্যমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রত্যেকেই একই সুরে জানিয়েছেন, এটা একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত। এভাবে মাসের পর মাস স্কুল বন্ধ থাকলে যেমন আগামী প্রজন্মের ক্ষতি হবে ঠিক একইভাবে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, তাই সুরক্ষা বিধি মেনে পঠন-পাঠন অবিলম্বে চালু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। এছাড়া দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থাকলে অল্প বয়সী পড়ুয়ারা মানসিক ভাবেও ভারাক্রান্ত হয়ে পড়বে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। যেটা আগামী দিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। সমাজের যা ক্ষতিকর হতে পারে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন, কালীপুজো, ছটপুজো মিটলেই ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলবে রাজ্যে। মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।আবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর বৈঠকে বসলেন স্বাস্থ্যকর্তারাও।