অবশেষে সাংসদ পদে বাবুলের ইস্তফায় সিলমোহর দিলেন স্পিকার

অনেক টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফা গ্রহণ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই নৈতিকতার খাতিরে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে ছিলেন বাবুল। কিন্তু স্পিকারের সময় না পাওয়ায় এই প্রক্রিয়া বিলম্ব হয়। শেষপর্যন্ত ১৯ অক্টোবর লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এদিন তাতেই সিলমোহর দিলেন ওম বিড়লা।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। এর আগে সক্রিয় রাজনীতিতে এসে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন তিনি। খোদ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি আসানসোলে প্রচারে এসে বাবুলকে সংসদে পাঠানোর ডাক দেন। ২০১৯ সালে ফের আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জয়লাভ বাবুলের। কিন্তু চলতি বছর ৭ জুলাই মোদি মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ পড়েন বাবুল সুপ্রিয়।

এরপর গত ৩১ জুলাই সোশাল মিডিয়ায় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। একইসঙ্গে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ারও ঘোষণা করেন। যদিও পরে তাঁর মেয়াদ সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেন। ২ অগাস্ট ঘোষণা করেন, তিনি বিজেপি ছেড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। এই মন্তব্যের দেড় মাস যেতে না যেতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়।

গতমাসে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর, সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দিল্লি যান বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সূত্রের দাবি, ছ’দিন দিল্লিতে থেকেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় না পাওয়ায় এদিন কলকাতায় ফেরেন তিনি। কিন্তু অবশেষে ইচ্ছাপূরণ। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ও গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ হয়ে গেল বাবুলের।

আরও পড়ুন- সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করল রাজ্য

 

Previous articleপাকিস্তানের জয় উদযাপন! কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা
Next articleআলাপনকে খুনের হুমকি দিয়ে স্পিড পোস্টে চিঠি তাঁর স্ত্রীকে